বায়ুসেনার কাজ হল টার্গেটে আঘাত করা। তারা দেখে যে সব টার্গেটে তারা আঘাত হানবে বলে স্থির করেছিল সেখানে সেখানে আঘাত করা সম্ভব হয়েছে কিনা। পাকিস্তানের বালাকোটে সেই টার্গেটে তারা আঘাত হেনেছে। তবে এই আঘাতে কতজনের মৃত্যু হল তার হিসেব বায়ুসেনা করেনা। বায়ুসেনা কতজন মারা গেছে বিমানহানায় তা জানাতে পারেনা। এটা জানাবে সরকার। সোমবার একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার প্রধান বিরেন্দর সিং ধানোয়া। সংবাদমাধ্যমকেই একথা জানান তিনি।
বায়ুসেনা প্রধান আরও বলেন, তাঁরা যদি কোনও টার্গেটে আঘাট হানবেন বলে স্থির করেন, তবে তাঁরা সেখানে আঘাত হানেন। পাকিস্তানের বালাকোটে জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদরে ডেরায় আঘাত হানা প্রসঙ্গে তাঁর দাবি, যদি তাঁরা টার্গেটে বোমা ফেলতে সক্ষম না হতেন তাহলে কী পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী প্রতিক্রিয়া দিতেন? যদি তাঁরা জঙ্গলে বোমা ফেলে আসতেন তাহলে পাক প্রধানমন্ত্রী কেন প্রতিক্রিয়া দিতে যাবেন? ১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে জঙ্গি হামলায় ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। তারই পাল্টা হিসাবে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ভোররাতে পাকিস্তানের বালাকোটে ঢুকে সেখানে জইশ-ই-মহম্মদের ঘাঁটি ও প্রশিক্ষণ শিবিরে বোমাবর্ষণ করে ভারতীয় বায়ুসেনা।
ভারতীয় বায়ুসেনার সেই হামলায় কতজন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে? এ প্রশ্ন কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি করেছে। এ প্রশ্ন ওঠায় পাকিস্তানে হামলার পর প্রথম সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলে বায়ুসেনা প্রধান তাঁর কোর্ট থেকে বল ঠেলে দিলেন সরকারের কোর্টে। তিনি সাফ জানিয়ে দিলেন কতজন ওই বিমান হানায় মারা গেছে তার হিসাবে সরকার দেবে। তাঁদের কাজ ছিল টার্গেটে আঘাত হানা। আর সে কাজ তাঁরা সাফল্যের সঙ্গেই করেছেন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)