রবিবার ভোর সাড়ে ৪টে। একে প্রবল ঠান্ডা। তায় আবার রবিবারের এমন কাকভোর। ফলে গোটা কাশ্মীর তখন ঘুমের দেশে। কেবল সীমান্তে ২ চোখের পাতা এক না করে অতন্দ্র প্রহরায় ছিল ভারতীয় সেনা। ভোর সাড়ে ৪টে নাগাদ বিনা প্ররোচনায় আচমকা ভারতে দিকে গুলি ও মর্টার বর্ষণ শুরু করে পাক রেঞ্জাররা। ঝাঁকে ঝাঁকে গুলি ছুটে আসতে থাকে ভারতের দিকে। সীমানার ওপার থেকে ছুটে আসতে থাকে মর্টারও।
পাল্টা জবাব দেয় ভারতও। পাল্টা গুলি চালাতে থাকে ভারতীয় সেনা। গুলির লড়াই তীব্র আকার নেয়। রবিবার ভোরে এই গুলির লড়াই শুরু হয় কাশ্মীরের পুঞ্চ জেলার কৃষ্ণা ঘাটি সেক্টরে ভারত-পাক সীমান্তে। গুলির লড়াই একটানা অব্যাহত থাকে প্রায় ৩ ঘণ্টা। সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ এই গুলির লড়াই থামে।
পাকিস্তান নিরন্তর সীমান্তে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে চলেছে। ফলে সীমান্তে বাধ্য হয়েই পাল্টা উত্তর দিতে হচ্ছে ভারতকে। যা সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছে। তাঁদের বাড়ি ঘরেও আছড়ে পড়ছে পাক মর্টার। এই অবস্থায় সীমান্তের ৫ কিলোমিটারের মধ্যে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)