তখন ভোরের আলো ফোটেনি। চারদিক ঘুটঘুট করছে অন্ধকার। উত্তাল আরব সাগরে কোনও জলযানকে স্থির রাখাটাই চ্যালেঞ্জের। তবু নিজেদের লক্ষ্যে অনড় থেকে ভারতীয় জলসীমায় ঢুকে পড়া একটি পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকার পিছু ধাওয়া করে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী। উত্তাল সমুদ্রের সঙ্গে কঠিন লড়াই চালিয়েও পাক নৌকাটিকে পালাতে দেয়নি তারা। পাকিস্তানি নৌকাটি বিপদ বুঝে পাকিস্তানের দিকে পালাতে থাকে।
শুরু হয় উত্তাল সমুদ্রে ঢেউয়ের সঙ্গে লড়াই করে পাক নৌকা ও ভারতীয় উপকীলরক্ষী বাহিনীর জাহাজের চোরপুলিশ খেলা। দীর্ঘক্ষণ ধরে এই ধাওয়া চলে। অবশেষে ভারতীয় জলসীমা পার করার আগেই তাদের পাকড়াও করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। তাদের কাছ থেকে ৬০০ কোটি টাকার নিষিদ্ধ মাদক উদ্ধার হয়েছে। মাদক হিসাবে যা নিয়ে আসা হচ্ছিল তা ছিল হেরোইন।
পাকিস্তান থেকে ২০০ কেজি হেরোইন নিয়ে একটি পাকিস্তানি মাছ ধরার নৌকা ভারতীয় জলসীমায় ঢুকবে বলে আগেই খবর ছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর কাছে। তাই কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে আরব সাগরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে অপেক্ষা করছিল উপকূলরক্ষী বাহিনীর জাহাজগুলি। ঠিক ছিল পাকিস্তানি ওই নৌকা থেকে ওই ২০০ কেজি হেরোইন ভারতীয় মাছ ধরার নৌকায় তুলে দেওয়া হবে। তারপর পাক নৌকাটি ফের পাকিস্তানে ফিরে যাবে। গুজরাটের কচ্ছের কাছে আরব সাগরে এই মাদক পাচারের কথা ছিল। সেইমত রাতের অন্ধকারেই উত্তাল সমুদ্রে উপকূলরক্ষী বাহিনী অপেক্ষায় ছিল।
পাক নৌকাটি তাদের নজরে আসার পরই সেটিকে ধাওয়া করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। পালাতে শুরু করে নৌকাটি। এদিকে পাকিস্তানি ওই নৌকা থেকে হেরোইন নেওয়ার জন্য ১৩ জনকে নিয়ে ভারতীয় একটি মাছ ধরার নৌকাও সেখানে অপেক্ষায় ছিল। তাদেরও পাকড়াও করে উপকূলরক্ষী বাহিনী। ‘আল মদিনা’ নামে পাকিস্তানি নৌকাটি থেকে ১৯৫টি হেরোইনের প্যাকেট উদ্ধার হয়েছে। পাক নৌকার সব সদস্যকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে উপকূলরক্ষী বাহিনী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা