গত ৩ জুন হারিয়ে যাওয়া বায়ুসেনার বিমান এএন ৩২-তে সফররত ছিলেন ১৩ জন। তাঁদের কেউই আর জীবিত নেই বলে ঘোষণা করল বায়ুসেনা। অরুণাচলের জঙ্গল ও পাহাড় ঘেরা দুর্গম এলাকায় আকাশপথে তল্লাশি চালিয়ে গত ১১ জুন অবশেষে একটি ঘন জঙ্গল পাহাড়ের সারির মধ্যে ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় এক জায়গায় বিমানটির ধ্বংসাবশেষ চিহ্নিত করতে সমর্থ হয় বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে তল্লাশিরত বাহিনী। কিন্তু চিহ্নিত স্থান এতটাই দুর্গম ছিল যে সেই জায়গায় পৌঁছতে ২ দিন লেগে যায়। বৃহস্পতিবার সকালে সেই দুর্গম স্থানে পৌঁছয় সেনার উদ্ধারকারী দল।
ভেঙে পড়া বিমানের ধ্বংসাবশেষ পরীক্ষার পর বায়ুসেনার তরফে ঘোষণা করা হয় যে ১৩ জন ওই বিমানে উড়ছিলেন তাঁরা কেউই বেঁচে নেই। সেই ১৩ জনের নামও প্রকাশ করেছে তারা। তাঁদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা ব্যক্ত করেছে বায়ুসেনা। সকলকে বীর বায়ুযোদ্ধা বলে ব্যাখ্যা করেছে তারা। বিমানের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধার শুরু হয়েছে। কীভাবে দুর্ঘটনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গত মঙ্গলবার ভারতীয় বায়ুসেনার এএন-৩২ বিমানের ধ্বংসাবশেষের খোঁজ পায় বায়ুসেনার তল্লাশি দল। পাহাড়ের ওপর ১২ হাজার ফুট উচ্চতায় এক জায়গায় বিমানটির টুকরো পড়ে থাকতে দেখে তারা। বায়ুসেনার হেলিকপ্টারে চলছিল তল্লাশি। সেই হেলিকপ্টার থেকেই অরুণাচল প্রদেশের অতি দুর্গম একটি জঙ্গল পাহাড় ঘেরা জায়গায় বিমানের টুকরো নজরে পড়ে তল্লাশি দলের। গত ৩ জুন সোমবার ১৩ জন যাত্রী নিয়ে বায়ুসেনার এই বিমানটি হারিয়ে গিয়েছিল। তারপর ৯ দিন ধরে অরুণাচল ও অসম তন্নতন্ন করে খোঁজ চালায় বায়ুসেনার তল্লাশি দল। কিন্তু বিমানটির খোঁজ মিলছিল না। অবশেষে ১১ জুন মেলে খোঁজ।
১৩ জন যাত্রী নিয়ে গত ৩ জুন সোমবার, দুপুরে ওড়ে ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান এএন-৩২। অসমের যোরহাট থেকে ওড়ে বিমানটি। বিমানে ছিলেন ৮ জন বিমানকর্মী ও ৫ জন যাত্রী। বিমানটি ঠিকঠাক আকাশে ওড়ে। তারপর গন্তব্যে পাড়ি দেয়। দুপুর ১২টা ২৫ মিনিটে আকাশে ওড়ার আধঘণ্টা পর থেকে তার আর কোনও খোঁজ ছিলনা।
অরুণাচল প্রদেশের মেনচুকা অ্যাডভান্সড ল্যান্ডিং গ্রাউন্ডে বিমানটির নামার কথা ছিল। ওড়ার আধঘণ্টা পর পর্যন্তও গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সঙ্গে বিমানটির সম্পর্ক ঠিকঠাক ছিল। বেলা ১টা নাগাদ আচমকা বিমানটির সঙ্গে গ্রাউন্ড কন্ট্রোলের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তারপর আর বিমানটির সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন সম্ভব হয়নি। এরপরই শুরু হয় বিমানটিকে খুঁজে বার করার চেষ্টা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা