গত শনিবার ভোর সাড়ে ৬টায় গুলিবর্ষণ শুরু করে পাকসেনা। জম্মু কাশ্মীরের রাজৌরি জেলার নৌসেরা সেক্টরে সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ শুরু হয়। ভারতীয় সীমান্তে দেদার গুলি আর মর্টার বর্ষণ করতে থাকে পাকসেনা। ক্রমশ তার প্রাবল্য বাড়তে থাকে। বিনা প্ররোচনায় এভাবে সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে পাকসেনার এই গুলি মটার বর্ষণের জেরে ভারতীয় সীমান্ত প্রহরা সতর্ক হয়। পাল্টা জবাব দেয় তারা। তবে পাকিস্তান যেভাবে গুলি চালাতে থাকে তাতে ভারতীয় এক সেনা জওয়ান শহিদ হন।
শনিবার শহিদ ভারতীয় সেনা ল্যান্স নায়েক সন্দীপ থাপা দেরাদুনের বাসিন্দা। গত ১৫ বছর ধরে ভারতীয় সেনায় কর্মরত তিনি। সংঘর্ষ বিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে এভাবে গুলিবর্ষণ কিছুতেই আর মেনে নিতে পারেনি ভারতীয় সেনা। পাল্টা আঘাত হানে তারা। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় পাকিস্তানের একটি সেনা পোস্ট। পাকসেনা যেখান থেকে গুলি বর্ষণ চালাচ্ছিল সেখানেই আঘাত হানে ভারত। ওই সেনা পোস্টে তখন পাকসেনা মোতায়েন ছিল। তবে ঠিক কতজন পাকসেনার মৃত্যু হয়েছে সেই সংখ্যাটা এখনও পরিস্কার নয়। তবে যোগ্য জবাব পেয়েছে পাকিস্তান।
সেনা সূত্র সংবাদমাধ্যমকে জানাচ্ছে, পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পাকিস্তান একটি ভারতে জঙ্গি পাঠানোর হাব বানিয়েছে। সেখান থেকে সীমানা পার করিয়ে জঙ্গিদের ভারতে ঢোকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। শনিবার পাকসেনা পোস্ট গুঁড়িয়ে দেওয়ার পর রাতের দিকে পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে গুলিবর্ষণ বন্ধ করে। গত ৭ মাসে বার বার পাকিস্তান বিনা প্ররোচনায় সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করে সীমান্তে গুলি চালিয়েছে। এতে ভারতের ৭ জন সেনা প্রাণ হারিয়েছেন। বাধ্য হয়ে পাল্টা জবাব দিয়েছে ভারতও। ভারতের কড়া জবাব পেয়ে তবেই শান্ত হয়েছে পাকসেনা। তবে কিছুদিন বাদেই ফের সংঘর্ষ বিরতি লঙ্ঘন করেছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা