সোমবার বিকেল ৩টে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তখন ১৮ হাজার থেকে ১৯ হাজার ফুট উপরে ছিলেন ৮ ভারতীয় সেনা। টহলের কাজ করছিলেন তাঁরা। লাদাখের সিয়াচেনে। চারপাশ সাদা বরফে ঢাকা। পাহাড়ের গায়ে বরফ আর বরফ। ঠিক সেই সময়েই আচমকা নেমে আসে হিমবাহ। বরফের ধস পাহাড়ের গা বেয়ে সোজা এসে আছড়ে পড়ে ওই ৮ ভারতীয় সেনার ওপর। তারপর থেকেই তাঁদের আর কোনও খোঁজ নেই।
সিয়াচেন হল বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র। এখানে সারা বছরই সেনা মোতায়েন থাকে। ভারত-চিন সীমান্তে ২ দেশই সতর্ক থাকে। কিন্তু ঠান্ডা এখানে কামড় বসায়। হিমবাহ চোখ রাঙায়। যেমন এদিন হল। ঘটনার পর থেকে ওই ৮ সেনার সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করে উঠতে পারেনি ভারতীয় সেনা। তবে সঙ্গে সঙ্গেই প্রায় শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। দ্রুত উদ্ধারকাজে হাত লাগায় সেনা।
ভারতীয় সেনার উদ্ধারকারী দল প্রথমে চেষ্টা করছে ঠিক কোনখানে রয়েছেন ওই সেনারা তার খোঁজ করতে। সেটা চিহ্নিত করতে পারলে তাঁদের দ্রুত উদ্ধার সম্ভব। কিন্তু এই বিশাল পরিমাণ বরফের স্তূপের কোনখানে সেনারা আটকে রয়েছেন তা চিহ্নিত করাই একটা বড় চ্যালেঞ্জ। প্রসঙ্গত লাদাখ এখন কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। গত মাসে এখানে প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এসে জানিয়ে গিয়েছিলেন এখানকার হিমবাহ দেখার সুযোগ পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা