জঙ্গি নিকেশে কর্নেল, মেজর সহ ৫ জন শহিদ
জঙ্গিরা পণবন্দি করেছিল বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে। তাঁদের ছাড়াতে গিয়ে ২ সেনা আধিকারিক সহ প্রাণ গেল ৫ জনের। যাঁদের মধ্যে ৪ জন ভারতীয় সেনাকর্মী, ১ জন পুলিশ ইন্সপেক্টর।
গত শনিবার থেকেই গুলিযুদ্ধ শুরু হয়েছিল। কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার হান্দওয়ারার চাঙ্গিমুল্লা এলাকায় ২ জঙ্গি বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীকে পণবন্দি করেছে বলে খবর আসে যৌথবাহিনীর কাছে। তারপরই ভারতীয় সেনা ও জম্মু কাশ্মীর পুলিশের একটি যৌথবাহিনী এলাকা ঘিরে ফেলে। পণবন্দিদের ছাড়াতে ক্রমশ তারা টার্গেটের কাছে এগোতে থাকে। বেগতিক বুঝে যৌথবাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলি চালাতে শুরু করে জঙ্গিরা।
যৌথবাহিনীর জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল পণবন্দিদের সুরক্ষিত অবস্থায় ফেরানো। কোনওভাবে যাতে তাঁদের কোনও ক্ষতি না হয় সেদিকটাও নজরে রাখতে হচ্ছিল। এদিকে ২ জঙ্গির কাছেই ছিল অত্যাধুনিক অস্ত্র। ফলে তারাও গুলির লড়াইটা সমানে চালিয়ে যাচ্ছিল। সঠিক পরিকল্পনা করে যৌথবাহিনী অবশেষে টার্গেটে পৌঁছতে সক্ষম হয়। ২ জঙ্গিকেই গুলি করে হত্যা করে যৌথবাহিনী। উদ্ধার করা হয় পণবন্দিদের। তবে জঙ্গিদের পাল্টা গুলিতে ভারতীয় সেনার আধিকারিক কর্নেল আশুতোষ শর্মা, মেজর অনুজ সুদ, নায়েক রাকেশ কুমার, ল্যান্স নায়েক দীনেশ এবং জম্মু কাশ্মীর পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর পদাধিকারী শাকিল কাজি শহিদ হন।
দেশের জন্য শহিদ এই ৫ জনকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ট্যুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁদের পরিবারের প্রতিও সমবেদনা জানিয়েছেন তিনি। প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং এই ঘটনার প্রবল নিন্দা করে জানান এঁদের প্রাণ বিসর্জন বৃথা যাবে না। শেষ কিছুদিনে জম্মু কাশ্মীরে লকডাউনের মধ্যেই জঙ্গি কার্যকলাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। জঙ্গি নিকেশে যথেষ্ট সাফল্যও পাচ্ছে যৌথবাহিনী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা