ভারতমহাসাগর জুড়ে আরও যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করল ভারত
ভারতমহাসাগরে সাধারণভাবে ভারতের যত যুদ্ধজাহাজ থাকে, তার চেয়ে অনেক বেশি সংখ্যক যুদ্ধজাহাজ সেখানে মোতায়েন করল ভারত।
নয়াদিল্লি : ভারতমহাসাগর জুড়ে যুদ্ধজাহাজ বাড়াল ভারত। চিনের সঙ্গে লাদাখে তৈরি হওয়া সংঘাতের আবহের পরই ভারত এই যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন বাড়াতে থাকে। গত ১০০ দিনে ভারতমহাসাগরে অনেক যুদ্ধ জাহাজ মোতায়েন হয়েছে। সেগুলি জলের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত চষে ফেলছে। অত্যাধুনিক যুদ্ধজাহাজগুলি ভারতমহাসাগর বলেই নয় ভারতমহাসাগর সংলগ্ন এলাকায় টহল দিচ্ছে। যার মধ্যে রয়েছে বঙ্গোপসাগর, আন্দামান সাগর, পার্সিয়ান গালফ, গালফ অফ এডেন। এছাড়া দক্ষিণ ও মধ্য ভারতমহাসাগরে ভারতীয় যুদ্ধ জাহাজ এখন অনেক বেড়েছে।
এটা এর আগেও জানা গেছে যে ভারতমহাসাগরে আধিপত্য বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে চিন। তা প্রতিহত করতে ভারত যে একটা বড় ভূমিকা নিচ্ছে তা বলাই বাহুল্য। বিশেষত লাদাখের পরল আর কোনও ঝুঁকি যে ভারত নিতে চাইছে না, তাও পরিস্কার। ভারতমহাসাগরে এখনও পর্যন্ত ভারত ২৫ শতাংশ যুদ্ধজাহাজ বাড়িয়েছে। যে কোনও উদ্ভূত পরিস্থিতির মোকাবিলায় ভারতীয় নৌসেনা যে তৈরি তা আরও একবার ভারতমহাসাগরে পরিস্কার করে দিল ভারত।
ভারতমহাসাগর বলেই নয়, ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ একদিকে লোহিত সাগর থেকে অন্যদিকে মালাক্কা প্রণালী পর্যন্ত নজরদারি বাড়িয়েছে। পার্সিয়ান গালফেও ভারতীয় যুদ্ধজাহাজ সবসময় প্রস্তুত থাকছে। যাতে ভারতের বাণিজ্যতরীগুলি কোনওরকম সমস্যা বা কোনও হামলার শিকার হতে না পারে। ভারতমহাসাগরে নজরদারি আরও শক্তিশালী করতে পি-৮১ নজরদারি বিমানও ব্যবহার করছে ভারতীয় নৌসেনা।
২৬/১১-র মুম্বই হামলার কথা সর্বজনবিদিত। সেই হামলার কথা মাথায় রেখে ভারতের উপকূল জুড়ে একটি ইলেকট্রনিক বেড়া দেওয়ার কাজ চলছে। যাতে আগামী দিনে জলপথে ভারতীয় সমুদ্রতীরে সকলের অলক্ষ্যে নেমে কোনও বহিঃশত্রু মুম্বই হামলার মত ঘটনা না ঘটাতে পারে। এই কাজে ২০টি সরকারি এজেন্সিকে সাহায্য করছে ভারতীয় নৌসেনা। এদিকে ভারত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সেই চুক্তির হাত ধরে অস্ট্রেলিয়া ভারতীয় নৌসেনাকে কোকোস এবং কিলিং দ্বীপ থেকে নজরদারিতে ছাড়পত্র দিয়েছে। যেখান থেকে চিনের কোনও জাহাজ বা ডুবোজাহাজ ভারতমহাসাগরে প্রবেশ করলে ভারতীয় নৌসেনা জানতে পারছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা