সেনা কনভয়ে জঙ্গি হামলা, পাল্টা গুলি চালাল না সেনা
ভারতের সেনা কনভয়ে ফের এক বড়সড় সন্ত্রাসবাদী হামলার ঘটনা ঘটল। যদিও পাল্টা গুলি চালানো থেকে নিজেদের বিরত রাখল ভারতীয় সেনা।
শ্রীনগর ও নয়াদিল্লি : দুপুর সওয়া ২টো। জম্মু কাশ্মীরের বারামুলা থেকে গুলমার্গের দিকে যাচ্ছিল ভারতীয় সেনার ৩টি গাড়ির একটি কনভয়। ৩টি গাড়ি মিলিয়ে ৩০ জনের মত সেনা ছিলেন। কনভয় পট্টন এলাকার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই গুলি ছুটে আসতে থাকে তাঁদের দিকে। জঙ্গিরা আগে থেকেই লুকিয়ে ছিল। সেখানে কনভয় হাজির হতেই গুলি চালাতে শুরু করে। কনভয়ে থাকা ৩টি গাড়ির মধ্যে ১টি গাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিল। তার পিছনে থাকা দ্বিতীয় গাড়িটি জঙ্গিদের গুলিবর্ষণের মুখে পড়ে। কনভয়ের মধ্যে এক সেনা জওয়ান গুলিতে আহত হন।
এই অবস্থায় পাল্টা গুলি চালাতে পারত সেনা। কিন্তু তারা তা থেকে বিরত থাকে। ওই কনভয়ের দায়িত্বে থাকা নায়েব সুবেদার যোগিন্দর সিং সেনাকে গুলি চালানো থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেন। বরং যত দ্রুত সম্ভব ৩টি গাড়িকে এলাকার বাইরে নিয়ে গিয়ে জঙ্গিদের আওতার বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। জঙ্গিরা গুলি চালানো সত্ত্বেও কেন পাল্টা গুলি চালাল না সেনা? আদপে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দেন নায়েব সুবেদার যোগিন্দর সিং।
সেনার তরফে জানানো হয়েছে যে কোনও পদে জম্মু কাশ্মীরে মোতায়েন থাকাকালীন একটা বিষয় সেনাকর্মীদের শেখানো হয়। তা হল কোনও অবস্থাতেই যেন একজনও সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি না হয়। সেটাই তাঁদের প্রথম লক্ষ্য হবে। এক্ষেত্রে এলাকায় মানুষজন ছিলেন। তাই পাল্টা গুলি চালালে একটা গুলির লড়াই হতে পারত। যার মাঝে পড়ে সাধারণ মানুষের প্রাণহানির সম্ভাবনা বাড়ত। তাই সেই পথ এড়িয়ে যান নায়েব সুবেদার যোগিন্দর সিং।
আহত জওয়ানকে পরে শ্রীনগরের সেনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কনভয় নিয়ে দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে গেলেও তারপরই গোটা এলাকা ঘিরে ফেলে যৌথবাহিনী। এলাকা জুড়ে শুরু হয় তল্লাশি। দুপুরের পর থেকে টানা চলে তল্লাশি অভিযান। জঙ্গিরা কোথায় লুকিয়ে ছিল, কোথা থেকে গুলি চালিয়েছে, তারা সেখানে জমায়েত করল কীভাবে সবই জানার চেষ্টা চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা