কাঁটা তারের বেড়া নড়ে উঠতেই গুলি চালাল বিএসএফ
কাঁটা তারের বেড়া নড়ে উঠতেই সন্দেহ হয় বিএসএফ জওয়ানদের। গুলি চালান তাঁরা। তারপরই সামনে আসে সত্যটা।
চণ্ডীগড় : সীমান্ত পার করে লুকিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা প্রায়ই হয়ে থাকে। পাক সীমান্ত দিয়ে সবচেয়ে বেশি এই চেষ্টা চলে। ভারতে ঢুকে নাশকতা চালাতে পাকিস্তানের মাটিতে বেড়ে ওঠা জঙ্গি সংগঠনগুলি তাদের জঙ্গিদের সীমান্ত দিয়ে লুকিয়ে ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা সারা বছর ধরে চালিয়ে যায়। আবার কিছু ক্ষেত্রে ড্রাগ পাচারকারীরাও পাক সীমান্ত দিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালায়। ভারতীয় সেনা সজাগ থাকে। ফলে সে চেষ্টা ব্যর্থ করে দেয় তারা। এমনই এক ঘটনা ঘটল পঞ্জাবের তরন তারন-এ।
পঞ্জাবের তরন তারন-এ রয়েছে ভারত-পাক সীমান্ত। রয়েছে কাঁটা তারের বেড়া। সেখানে শনিবার ভোর রাতের দিক। সকালের আলো তখনও ফোটেনি। চারধার অন্ধকার। ভোরের অপেক্ষায় সকলে। সীমান্তে অবশ্য বিএসএফ তাদের কড়া নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছিল। সেই সময় এক জায়গায় কাঁটা তারের বেড়ায় একটা নড়াচড়ার শব্দ পান কর্তব্যরত ১০৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের বিএসএফ জওয়ানরা। অন্ধকার থাকায় পরিস্কার দেখা হয়তো যাচ্ছিল না। তবে ওই নড়াচড়ার শব্দ তাঁদের সন্দেহ বাড়ায়।
আওয়াজ লক্ষ্য করে গুলি চালান তাঁরা। তাঁদের মনে হয় ওখান দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা হচ্ছে। তাঁদের ধারণা ভুল ছিলনা। ৫ পাক অনুপ্রবেশকারী অন্ধকারের সুযোগ নিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা চালাচ্ছিল বেড়া টপকে। বেড়া পার করতে গিয়ে তাদের থেকে সামান্য আওয়াজ হয়। সেই আওয়াজ সতর্ক করে দেয় বিএসএফ-কে। তারা গুলি চালায়।
বিএসএফ গুলি চালাতেই সতর্ক হয়ে যায় অনুপ্রবেশকারীরা। তারাও পাল্টা গুলি চালায়। শুরু হয় বিএসএফ ও অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে গুলির লড়াই। আর সেই গুলিযুদ্ধে বিএসএফ-এর গুলিতে খতম হয় ৫ অনুপ্রবেশকারী। এরপর বেড়ার ধার থেকে এক এক করে দেহ উদ্ধার করে বিএসএফ। এলাকা ঘিরে তল্লাশিও শুরু করে বিএসএফ। আরও কেউ ছিল কিনা তার খোঁজ শুরু হয়। কেউ জঙ্গলে লুকিয়ে আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখা হয়। তবে অনুপ্রবেশকারীরা ড্রাগ পাচারকারী না জঙ্গি তা এখনও পরিস্কার নয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা