প্যাংগং লেকের উত্তর অংশে আধিপত্য কায়েম করল ভারতীয় সেনা
প্যাংগং লেকের একধারে যখন চিন সেনা বাড়াচ্ছে তখন পাল্টা জবাব দিল ভারত। লেকের উত্তর অংশে আধিপত্য কায়েম করল ভারতীয় সেনা।
নয়াদিল্লি : লাদাখে ভারত ও চিনের সেনা একটানা মুখোমুখি। টানটান পরিস্থিতি তৈরি হয়ে রয়েছে। চাপা উত্তেজনা কাজ করছে ২ প্রান্তেই। এরমধ্যেই সেনা আধিকারিক পর্যায়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে আলোচনা অব্যাহত। রাশিয়ায় মুখোমুখি হয়েছেন ভারত ও চিনের বিদেশমন্ত্রী। কিন্তু এতকিছুর পরেও চিন কিন্তু প্যাংগং লেকের ধারে সোনা মোতায়েন চালিয়ে যাচ্ছে। আসছে চিনা যুদ্ধ সরঞ্জাম। এভাবে চিনের সীমান্তে সেনা বৃদ্ধি দেখার পর ভারতও আর চুপ করে বসে নেই। ভারতীয় সেনা আগাগোড়াই সতর্ক ছিল। এবার তারা পাল্টা চ্যালেঞ্জও ছুঁড়ে দিল। বুঝিয়ে দিল চিন এতটুকু আগ্রাসনের চেষ্টা চালালে তারাও ছাড়বে না।
ভারতীয় সেনা এদিন চিনকে ঠেকাতে প্যাংগং লেকের উত্তর অংশে নিজেদের আধিপত্য কায়েম করেছে। এই অংশ এমন এক উচ্চতায় রয়েছে যেখান থেকে চিনের প্যাংগং লেকের কাছে সমরাস্ত্র বাড়ানোর তোড়জোড়, সেনা বাড়ানোর তোড়জোড় সবই নজরে আসছে। যেটা ভারতীয় সেনার তৈরি থাকার জন্য জরুরি ছিল। সেনার পাহাড়ে যুদ্ধে পারদর্শী জওয়ানদের এখানে মোতায়েন করেছে ভারতীয় সেনা। চিন এতটুকু ভারতীয় ভূখণ্ডে আগ্রাসনের চেষ্টা করলে তাদের যোগ্য জবাব দিতে তৈরি এই বাহিনী।
ভারতীয় সেনা এমনিতেই রেচিং লা-তে নিজেদের আধিপত্য ধরে রেখেছে। যা নিয়ে চিন প্রতিবাদ জানিয়ে এসেছে। এখনও জানিয়ে চলেছে। কিন্তু চিনের আগ্রাসী মনোভাব রুখতে ভারতীয় সেনার লাদাখের দুর্গম উচ্চতায় আধিপত্য থাকা জরুরি। আর ঠিক সেটাই করছে ভারত। চিনের দখলে যেমন বেশ কিছু পাহাড়ি এলাকা রয়েছে, ভারতও তাদের পাহাড়ি এলাকা ও উঁচু জায়গায় নিজেদের আধিপত্য বাড়াচ্ছে।
চিন আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে পাহাড়ি এলাকা থেকে ভারতীয় সেনাকে সরাতে। সেইসঙ্গে চিন ফিঙ্গার ৪ এবং ৫ থেকে ৮-এর মধ্যে নিজেদের আধিপত্য রাখতে চাইছে। যদিও ভারত এখন যে জায়গায় নিজেদের শক্তি বাড়িয়েছে সেটা ভারতকে এই অঞ্চলে চিনের চেয়ে ভাল অবস্থায় রাখছে। প্রসঙ্গত প্রায় ৪ মাস ধরে চিনের আগ্রাসী মনোভাবের জন্য ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্তে জটিলতা ক্রমশ বাড়ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা