জঙ্গি নয়, কাশ্মীরে একদম অচেনা হামলার শিকার বিএসএফ জওয়ান
বিএসএফ জওয়ানরা কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার শিকার হন। কিন্তু এবার একেবারেই অন্য হামলার শিকার হতে হল তাঁদের।
শ্রীনগর : সীমান্ত প্রহরা ছাড়াও বিএসএফ জওয়ানদের অন্য কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমন জম্মু কাশ্মীরের বদগাম জেলায় জেলাশাসকের বাসভবন প্রহরার কাজ করছিলেন এক বিএসএফ জওয়ান।
রাজিন্দর সিং নামে ওই জওয়ান রাতের অন্ধকারে প্রহরার কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ঘন অন্ধকারে পাহারা দিচ্ছিলেন তিনি। বাইরে ঠান্ডা পরিবেশ। নিশুতি রাত। চারিদিকে কেউ কোথাও নেই। আচমকাই তাঁর ওপর হামলে পড়ল এক অতিকায় প্রাণি।
রাজিন্দর সিং কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি সেই প্রাণির হামলার শিকার হন। বুঝতে পারেন তাঁকে পেল্লায় এক ভাল্লুক আক্রমণ করেছে। তাঁকে জখম করার পর তাড়া খেয়ে ভাল্লুকটি সেখান থেকে পালায়। কিন্তু ততক্ষণে রাজিন্দর সিং জখম হয়ে গেছেন।
তাঁকে দ্রুত রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। পরে চিকিৎসকেরা জানান ওই বিএসএফ জওয়ানের শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল। চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষণেই আছেন তিনি।
কেন ভাল্লুকটি রাজিন্দর সিংয়ের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল তা অজানা। কারণ রাতের অন্ধকারে কিছুই সেভাবে নজরে পড়ছিল না। ভাল্লুকটি কেন জনবসতিপূর্ণ এলাকায় ঢুকেছিল তাও অপরিস্কার।
কাছের কোনও জঙ্গলেই তার বাস। অনেকে মনে করছেন সেখান থেকে হয়তো খাবার খুঁজতে জেলাশাসকের বাসভবনের কাছে পৌঁছে গিয়েছিল সে। তারপর রাজিন্দর সিংকে দেখে তাঁকে আক্রমণ করে।
কাশ্মীরে বিএসএফ জওয়ানরা সতর্ক থাকেন পাকিস্তানের দিক থেকে ছুটে আসা গুলি বা মর্টারের জন্য। আর থাকেন জঙ্গি হামলা হতে পারে একথা মাথায় রেখে। এতদিন হয়েছেও তাই। কিন্তু ভাল্লুকের হামলায় তাঁদের পড়তে হয়না।
কাশ্মীরের পরিচিত বিপদ জঙ্গি হামলা বা সীমান্তে পাকিস্তানের বিনা প্ররোচনায় সীমান্তপারে গুলিবর্ষণ হলেও অচেনা বিপদও যে রয়েছে তা এদিন প্রমাণ হল।
পুলিশই ব্যবস্থা নিয়ে রাজিন্দর সিংকে হাসপাতালে ভর্তি করে। আশপাশেও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ। অন্য কোথাও ভাল্লুকের হামলা হয়েছে কিনা তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে। বোঝার চেষ্টা হচ্ছে ভাল্লুকটি কোন জঙ্গল থেকে বেরিয়ে এসেছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা