ধরা পড়া চিনা সেনাকে ছেড়ে দিল ভারত
গত ১৯ অক্টোবর ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে আসা এক চিনা সেনাকে আটক করে ভারতীয় সেনা। সৌহার্দ্যের পরিচয় দিয়ে তাকে চিনা সেনার হাতে তুলে দিল ভারত।
নয়াদিল্লি : লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে গত মে মাস থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত। লাদাখের গালওয়ানে ২০ জন ভারতীয় সেনাকে হত্যা করে চিনা সেনা।
চিনা সেনার আগ্রাসন নীতি রুখতে ও ভারতীয় ভূখণ্ডকে সুরক্ষিত করতে ভারত সীমান্তে সেনা মোতায়েন বাড়ায়। চিনও সেনা বাড়াতে থাকে সীমান্তে।
২ পক্ষ কার্যত মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে এখনও। যথেষ্ট উত্তপ্ত পরিস্থিতি। এরমধ্যেই গত সোমবার এক চিনা সেনা ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করে। দেখা মাত্রই তাকে আটক করে ভারতীয় সেনা।
সেই চিনা সেনাকে যে ছেড়ে দেওয়া হবে তা সেদিনই পরিস্কার করেছিল ভারতীয় সেনা। যথেষ্ট সৌহার্দ্যের পরিচয় দিয়ে তাকে মঙ্গলবার রাতে ছেড়েও দিল ভারত। ওই সেনাকে চিনা সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় চুশুল-মোল্ডো মিটিং পয়েন্টে। যাবতীয় প্রোটোকল মেনেই তাকে চিনা সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
চিনা সেনা সীমান্তে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের চেষ্টায় মত্ত। গালওয়ানে ভারতের ২০ জন সেনাকেও হত্যা করে তারা। পাল্টা ভারত কিন্তু চরম সৌহার্দ্যের পরিচয় দিল এদিন।
আটক হওয়া চিনা সেনার ওই কর্পোরালের নাম ওয়াং ইয়া লং। তাকে পূর্ব লাদাখের ডেমচক সেক্টর থেকে আটক করার পর কেন সে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে সে সম্বন্ধে জানার চেষ্টা শুরু করে ভারতীয় সেনা।
তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে ওয়াং দাবি করে একটি চমরিগাই চিনের দিক থেকে ভারতে প্রবেশ করে আসে। সেটাকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতেই সে প্রবেশ করে ভারতীয় ভূখণ্ডে। ওয়াং-এর সঙ্গে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি ছিল।
ভারতীয় সেনার তরফে অবশ্য ওই চিনা সেনার স্বাচ্ছন্দ্যে কোনও খামতি রাখা হয়নি। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়। দেওয়া হয় খাবার, গরম পোশাক। প্রবল ঠান্ডায় বেঁচে থাকার প্রয়োজনীয় উপাদান।
তাকে ফিরিয়েও দেওয়া হবে বলেও ভারতীয় সেনার তরফে সেদিনই জানানো হয়। নির্দিষ্ট প্রোটোকল মেনেই অবশেষে চুশুল-মোল্ডো মিটিং পয়েন্টে চিনা সেনার হাতে তুলে দেওয়া হয় ওয়াংকে।
ওয়াং ভারতীয় সেনার হাতে ধরা পড়ার পর চিনা সেনার তরফে একটি আবেদন এসেছিল ভারতীয় সেনার কাছে। সেখানে জানতে চাওয়া হয়েছিল ওয়াং কোথায় রয়েছে এবং কী অবস্থায় রয়েছে।
হিমালয়ে ঠান্ডা পড়ে গেছে। ক্রমশ সেই ঠান্ডা আরও বাড়বে। ইতিমধ্যেই প্রবল ঠান্ডার মধ্যেই সেনাকে কাজ করতে হচ্ছে।
অনেক জায়গায় মাইনাস ৩০ ডিগ্রি বা তার চেয়েও নিচে নেমে যায় তাপমাত্রা। তখন সেনা সরানো হয়। এবারও কি তাই হবে? এবার কী হয় সেদিকে চেয়ে ২ পক্ষই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা