অন্তর্ঘাত বা যন্ত্র সমস্যা নয়, সামনে এল বিপিন রাওয়াতের চপার দুর্ঘটনার অন্য কারণ
গত ৮ ডিসেম্বর নীলগিরি পর্বতের ওপর ভেঙে পড়েছিল চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার। কীভাবে তা ভেঙে পড়ে, সেই রিপোর্ট সামনে এল।
হেলিকপ্টারটা ভেঙে পড়েছিল কীভাবে? সেটা কি অন্তর্ঘাত ছিল? নাকি প্রযুক্তিগত সমস্যা? যন্ত্রাংশের সমস্যা ছিল কি? নাকি পাইলটের ভুলেই চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত এবং তাঁর স্ত্রী সহ মোট ১৪ জনকে নিয়ে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য হেলিকপ্টার?
এমন নানা প্রশ্ন সামনে আসছিল। এত বড় একটা দুর্ঘটনার পর ভারতীয় সেনার ট্রাই সার্ভিস কোর্ট এই ঘটনার তদন্ত শুরু করে। যাদের তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়েছে। যেখানে উঠে এসেছে আসল কারণ।
জেনারেল বিপিন রাওয়াতের হেলিকপ্টার দুর্গম নীলগিরির ওপর ভেঙে পড়ার কারণ হিসাবে অন্তর্ঘাত, অবহেলা বা প্রযুক্তিগত ত্রুটিকে কার্যত উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে রিপোর্টে।
বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে, নীলগিরির উপত্যকায় আচমকাই আবহাওয়ার পরিবর্তন ঘটে। তখন আকাশে ছিল হেলিকপ্টার। হঠাৎই মেঘে ছেয়ে যায় আকাশ। সেই মেঘের মধ্যে ঢুকে পড়ে হেলিকপ্টার। ফলে সাময়িকভাবে বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন পাইলট। যার জেরেই ঘটে যায় দুর্ঘটনা।
কীভাবে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছলেন তদন্তকারীরা? জানানো হয়েছে, হেলিকপ্টারে থাকা ককপিট ভয়েস রেকর্ডার, ফ্লাইট ডেটা রেকর্ডার খতিয়ে দেখে এবং যতটা পারা গেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান নিয়ে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তাঁরা। এগুলো সামনে এনে বেশকিছু প্রস্তাবও দিয়েছেন তদন্তকারীরা। বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছে সেই প্রস্তাবও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
নীলগিরি পর্বতের কাছে ওয়েলিংটনে সেনা ঘাঁটিতে বক্তব্য রাখতে স্ত্রী এবং ১২ জন সেনা আধিকারিকের সঙ্গে হেলিকপ্টারে যাচ্ছিলেন সিডিএস জেনারেল বিপিন রাওয়াত। দুর্ঘটনায় সকলেরই মৃত্যু হয়। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা