National

মৃত্যু পথযাত্রী ৩০ জনকে উদ্ধারে বরফের তলায় দেবদূতের মত হাজির হলেন ওঁরা

মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছু করার ছিলনা তাঁদের। বরফের স্তূপের তলায় জায়গা হয়েছে তাঁদের। আচমকাই যেন সাক্ষাৎ দেবদূতের মত হাজির হলেন ওঁরা।

কথায় বলে রাখে হরি মারে কে! তারই যেন প্রমাণ পেলেন তাঁরা। সাকুল্যে ৩০ জন। সকলেই সাধারণ মানুষ। প্রবল তুষারপাতে তখন চারধার ধোঁয়ার মত হয়ে গেছে। কিছুই প্রায় দেখা যাচ্ছেনা। নাগাড়ে চলছে তুষারপাত। তার সঙ্গে যোগ দিয়েছে পাহাড়ের গা বেয়ে তুষারধস।

সে এক ভয়ংকর পরিস্থিতি। এ পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পাওয়ার একটাই পথ। পালাতে হবে এখান থেকে। সেটাই স্থির করেন ওঁরা। গাড়ির ব্যবস্থা করে পালাতে চেষ্টা করেন সেখান থেকে।


কিন্তু তুষারের হাত থেকে কি অত সহজে রেহাই মেলে! তুষার কিছুক্ষণের মধ্যেই গিলে খেয়ে নিল তাঁদের গাড়িগুলোকে। থমকে যাওয়া গাড়ি চলে গেল বরফের তলায়। গাড়ির মধ্যে তখন ৩০ জন।

খবরটা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে জীবনের পরোয়া না করে সেখানে ছোটে ভারতীয় সেনা ও জেনারেল রিজার্ভ ইঞ্জিনিয়ার ফোর্সের যৌথবাহিনী। কাশ্মীরের চৌকিবাল-তানঘর রোড তখন আর রাস্তা নেই। রাস্তা, পাহাড় আশপাশ সব এক হয়ে গেছে বরফের চাদরে। সেখান থেকেই ৩০ জনকে উদ্ধার করে যৌথবাহিনী।


তুষারপাত তো ছিলই, সেইসঙ্গে প্রতি মুহুর্তে ঝুঁকি ছিল এই বুঝি তুষারধস ধেয়ে এল। আর তা সত্যি এলে কিন্তু প্রাণ বাঁচিয়ে পালানোটা কার্যত ঈশ্বরের হাতে ছেড়ে দিতে হত।

সেই প্রতিকূল পরিস্থিতিকে তুচ্ছ করে ওই ৩০ জনকে খুনি নালা ও এসএম হিলস-এর কাছ থেকে বাঁচিয়ে আনেন সেনাকর্মীরা। ৩০ জনই সুস্থ আছেন। তাঁদের চিকিৎসা ও খাওয়া দাওয়ার বন্দোবস্ত করেছে সেনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button