বরফ কেটেছিল রাস্তা, আকাশ জিইয়ে রাখল প্রাণের আশা
সব শেষ যেখানে মনে হয়, তখনও কোনও না কোনও রাস্তা খুলেই যায়। বরফ রাস্তা কেটে যে আশা শেষ করেছিল, তাকে জিইয়ে রাখল নীল আকাশ।
চারিদিকে তুষারপাত চলছে। পুরু বরফে ঢেকে গেছে পথ। ফলে পাহাড়ের সঙ্গে সমতলের সংযোগ গেছে কেটে। রাস্তা বন্ধ হয়েছে। শুধু কি তুষারপাত! তার সঙ্গে আবার রাস্তা কাটাকে আরও নিশ্চিত করে দিয়েছে ধস। তুষারপাত আর ধসে পাহাড়ের উপরিভাগের সঙ্গে নিচের উপত্যকায় পৌঁছনোর উপায় গেছে স্তব্ধ হয়ে।
আর এই কঠিন পরিস্থিতির মাঝেই হিমাচল প্রদেশের লাহুল স্পিতি জেলার কেলংয়ের বিলিং গ্রামের এক ৬৩ বছরের বৃদ্ধের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়।
পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে পাহাড়ের ১১ হাজার ফুট উঁচুতে বরফে ঢাকা গ্রামে তাঁর চিকিৎসা ছিল অসম্ভব। তাঁকে বাঁচাতে গেলে পৌঁছতে হত সমতলের কোনও বড় হাসপাতালে। কিন্তু রাস্তা কোথায়! যাওয়ার পথ তো বন্ধ!
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যসরকারের তরফ থেকে একটি আবেদন পৌঁছয় ভারতীয় বায়ুসেনার কাছে। বায়ুসেনার তরফে তখনই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
এমআই-১৭ভি-৫ হেলিকপ্টার ১১ হাজার ফুট উঁচু থেকে ওই আশঙ্কাজনক রোগী সহ আরও ১ রোগীকে নিয়ে উড়ে যায় আকাশে। তারপর সড়কপথে যে সময় লাগত তার চেয়েও অনেক কম সময়ে তাঁদের নিয়ে উপযুক্ত স্থানে পৌঁছে যায়।
পৌঁছয় ভুন্টার এয়ারফিল্ডে। বেঁচে যায় প্রাণ। সময়ে চিকিৎসা না পেলে যা সম্ভব ছিলনা। রাস্তা বন্ধ হলেও আকাশ পথ দেখাল। বায়ুসেনা প্রাণ বাঁচাল এক দুর্গম পাহাড়ের বাসিন্দার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা