ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে অচেনা প্রাণির দেখা, তাকে ফেলেই আমবাগানে ৪ জন
ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে এমন এক প্রাণির দেখা মিলল যা স্থানীয়দের কাছে একেবারেই অচেনা। তারপরই ঘটল এক কাণ্ড। তাকে ফেলেই আমবাগানে দৌড় দিল ৪ জন।
একটা খচখচ আওয়াজ কানে আসছিল অনেকক্ষণ ধরেই। কোন দিক থেকে আসছে আওয়াজটা? সেটা আন্দাজ করে সেদিকে এগিয়ে যান ভারতীয় বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের আধিকারিক ও জওয়ানরা। যেখান থেকে আওয়াজটা আসছিল সেটা ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত।
সীমান্তে বেড়ার ওধারে বাংলাদেশের দিকে একটি মই দেখতে পায় বিএসএফ। সেই মই দিয়ে একটি প্রাণিকে ভারতের দিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছিল। সীমান্তের বেড়া টপকে প্রাণিটি ভারতের দিকে আসলেই তাকে ধরে নেওয়ার জন্য তৈরি ছিল ৪ জন।
বিএসএফ বুঝতে পারে ওই প্রাণিটিকে ভারতে পাচার করার চেষ্টা হচ্ছে। বুঝেই তারা গুলি চালায়। গুলি চালাতেই বাংলাদেশের দিকে থাকা ৩ জন চম্পট দেয়।
এদিকে ততক্ষণে প্রাণিটি ভারতের ভূখণ্ডে চলে এসেছে। কিন্তু তাকে ধরে নিয়ে যাওয়ার আগেই ভারতের দিকে থাকা ৪ জন পাচারকারী বিএসএফ-কে দেখে দৌড় লাগায় একটি আমবাগানের দিকে। তাদের না পাওয়া গেলেও ওই প্রাণিটিকে উদ্ধার করে বিএসএফ।
প্রাণিটি ধরার পর বিএসএফের রীতিমত অবাক লাগে। এমন প্রাণি তো দেখেনি তারা। এটা কি প্রাণি? ভারত বা বাংলাদেশে তো এমন প্রাণি নেই!
লম্বা গলার প্রাণিটিকে দেখে মনে হবে সেটি লামা এবং উটের মিশ্রণ। তবে চেহারায় একটু ছোট। অনেকটা ভেড়ার মত। তাদের লোমশ শরীর ভেড়ার মতই উলে ভরা।
প্রাণিটিকে ভাল করে পরীক্ষার পর জানা যায় সেটির নাম আলপাকা। আলপাকা ভারত, বাংলাদেশ কেন এশিয়ারই প্রাণি নয়। এটি পাওয়া যায় দক্ষিণ আমেরিকার পেরু, বলিভিয়া, ইকুয়েডর এবং চিলিতে। সেখানে আলপাকা গৃহপালিত প্রাণির মত পোষা হয়।
আলপাকার উল দিয়ে খুবই দামি কম্বল তৈরি হয়। ভারতে লুকিয়ে এ প্রাণি পোষেন কেউ কেউ। মনে করা হচ্ছে সেজন্যই এটি ভারতে পাচার করা হচ্ছিল।