হাতেগোনা দেশের তালিকায় ভারতীয় প্রতিরক্ষা, ঐতিহাসিক উচ্চতায় দেশের গৌরব
একটি পরীক্ষা সফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে ভারত পৌঁছে গেল বিশ্বের হাতেগোনা দেশের তালিকায়। যা ভারতবাসীর জন্য অবশ্যই গর্বের।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী নিজেই এই সাফল্যে আপ্লুত। তিনি এই সাফল্যকে ঐতিহাসিক বলে ব্যাখ্যা করেছেন। ওড়িশার ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে যে পরীক্ষা করা হল তা ভারতকে এক লহমায় বিশ্বের হাতেগোনা দেশের তালিকায় জায়গা করে দিল।
প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে এই সাফল্যকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। কি সেই সাফল্য? ডক্টর এপিজে আবদুল কালাম দ্বীপ থেকে একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করা হয়। এই দূরপাল্লার হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রটি সফলভাবেই পরীক্ষিত হয়।
এই পরীক্ষা সফল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আনন্দে মেতে ওঠেন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকরা। কারণ এটি যেমন জটিল, তেমনই উন্নত প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে তৈরি। যার সাফল্যের ওপর অনেক কিছু নির্ভর করছিল।
ক্ষেপণাস্ত্রটি পরীক্ষায় সফল হওয়ার পর প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাঁর এক্স হ্যান্ডলে জানিয়ে দেন এই সাফল্যের পর ভারত এখন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বিশ্বের হাতেগোনা দেশের তালিকায় জায়গা করে নিল। বোঝাই যাচ্ছে এই প্রযুক্তি খুব কম রাষ্ট্রের হাতেই রয়েছে।
ক্ষেপণাস্ত্রটি বিভিন্ন ধরনের পেলোড নিয়ে ছুটে যেতে সক্ষম। সম্পূর্ণ ভারতীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করা হয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি। ডিআরডিও-র ল্যাবরেটরিতে এই ক্ষেপণাস্ত্রটি তৈরি করা হয়।
ক্ষেপণাস্ত্রটির অনেক বৈশিষ্ট্যের একটি হল এটির গতি এত বেশি যে শত্রুপক্ষের পক্ষে একে দেখতে পাওয়া কঠিন। ফলে তাকে পাল্টা আক্রমণের সম্ভাবনাও কম। জাতীয় সুরক্ষায় এই ক্ষেপণাস্ত্র এক মাইলফলক তৈরি করল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা