দুঃসাহসিক অভিযান, আগ্নেয়গিরির ধার থেকে উদ্ধার করল ভারতীয় বায়ুসেনার বিমান
২টি প্রাণ রক্ষা করতে দুঃসাহসিক অভিযানে শামিল হল ভারতীয় বায়ুসেনা। বলা বাহুল্য, সাফল্যও পেল। তবে যেভাবে উদ্ধারকাজ হল তা ইতিহাস হয়ে রইল।
এ আগ্নেয়গিরি মাঝেমধ্যে জেগে ওঠে। শেষবার ২০০৫ সালে জেগে উঠেছিল। আবার যে কখন জেগে উঠবে তা কারও জানা নেই। ভারতে আগ্নেয়গিরি সেভাবে নেই। আছে বলতে ২টি। তার একটি নরকনডাম। যা সুপ্ত আগ্নেয়গিরি হিসাবে পরিচিত।
আন্দামানের এই দ্বীপটি নিজেই প্রায় একটি আগ্নেয়গিরি। তবে এমন নয় যে কেউ এখানে থাকেনা। এখানেও ১৬ জনের মত মানুষের দেখা মেলে। এখানে রয়েছে একটি থানাও। যাতে কেউ অন্যায়ভাবে এই দ্বীপে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য থাকে পুলিশি প্রহরা।
সেখানেই কর্মরত ২ পুলিশকর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছতে হত। এজন্য জলপথে অনেক সময় লেগে যেত। তাঁদের উদ্ধার করতে তাই পৌঁছে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার এমআই-১৭ মিডিয়াম লিফট হেলিকপ্টার। উদ্ধার করা হয় পুলিশকর্মীদের।
তবে সে উদ্ধারকাজ সহজ ছিলনা। কারণ হেলিকপ্টারকে প্রায় জল ছুঁয়ে ফেলা অবস্থায় নামিয়ে আনতে হয়। স্ট্রেচারে করে যে ২ জনকে তুলে হেলিকপ্টারে নেওয়া যাবে এমন পরিস্থিতি ছিলনা। তাই হেলিকপ্টারকেই প্রায় নিচে নামিয়ে আনতে হয়।
নরকনডাম দ্বীপটি সবুজে ভরা। কিন্তু সাড়ে ৭ বর্গ কিলোমিটারের দ্বীপটিতে এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে হেলিকপ্টার অবতরণ করতে পারে। তাই হেলিকপ্টারটিকে উড়ন্ত অবস্থায় একদম পাহাড়, জল ঘেঁষে নামিয়ে আনতে হয়। যা প্রবল মাত্রায় ঝুঁকির ছিল।
নিচে নামানো অবস্থায় সেই ভাসমান হেলিকপ্টারে ২ জনকে তুলে নেওয়া হয়। তারপর ফের আকাশে উড়ে যায় ভারতীয় বায়ুসেনার এই হেলিকপ্টার। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা