কলকাতার কাছেই আমবাগানে মাটির তলায় ঘুঘুর বাসা, ঢাকনা খুলতেই চক্ষু চড়কগাছ
এমনিতে জায়গাটা চোখ জুড়িয়ে দেওয়ার মতন। সুন্দর এক আমবাগান। সেখানে যে আড়ালে মাটির তলায় এমন ঘুঘুর বাসা তা কে জানত।
কলকাতা থেকে জায়গাটা খুব দূরে নয়। রেলপথে ১০৬ কিলোমিটার যাত্রা। নদিয়ার মাজদিয়া থানার নাগটা নামে জায়গাটি সীমান্ত লাগোয়া এলাকা। কাছেই বাংলাদেশ সীমান্ত।
এখানেই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় বিএসএফ ও স্থানীয় থানার পুলিশের যৌথ দল। সেখানেই একটি আমবাগানে হানা দেয় তারা। তারপর একটু খুঁজতেই মাটির তলায় একের পর এক উঁকি দেয় বাঙ্কার।
মানুষ নয়, সেখান থেকে উদ্ধার হয় ৬২ হাজার ২০০টি নিষিদ্ধ কাশির সিরাপের বোতল। মাটির তলায় যেভাবে সেগুলি লুকিয়ে রাখা ছিল গুদাম ঘর তৈরি করে তা দেখে চক্ষু চড়কগাছ পুলিশেরও।
মনে করা হচ্ছে ওই নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ আসলে নেশাদ্রব্য হিসাবে ব্যবহার হত বাংলাদেশে। সীমান্ত লাগোয়া এলাকা হওয়ায় ওই ফেনসিডিল–এর বোতলগুলি লুকিয়ে সীমান্ত পার করানো হত।
সীমান্তের কাছেই মজুত করা হয়েছিল এই বিপুল পরিমাণ সিরাপের বোতল। যাতে সুযোগ সুবিধা মত তা সীমান্তের ওপারে পৌঁছে দেওয়া যায়।
মাটির তলার এই ৪টি বাঙ্কার থেকে বিপুল সংখ্যক সিরাপ উদ্ধারের পর ওই জমির মালিককে খুঁজছে পুলিশ। তবে সে গা ঢাকা দিয়েছে।
তবে এই অভিযান যে এখানে চলা চোরাচালানকে বড় ধাক্কা দিতে পেরেছে তা মেনে নিচ্ছেন বিএসএফ-এর সাউথ বেঙ্গল ফ্রন্টিয়ারের ডিআইজি এনকে পাণ্ডে। কীভাবে এত নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ এখানে মজুত হল? কোন পথে এগুলি এল? সবই খুঁজে বার করতে তদন্ত চলছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা