
স্ফুলিঙ্গটা জ্বালিয়েছিলেন বিএসএফ কনস্টেবল তেজ বাহাদুর যাদব। তাঁর সাহসে ভর করে অনেকেই এবার সাহস করে মুখ খোলা শুরু করলেন। খোদ সেনার তরফেই এবার জওয়ানদের দুর্দশা নিয়ে অভিযোগ সামনে এসেছে। দেরাদুনের ৪২ নম্বর ইনফ্যান্ট্রির ল্যান্সনায়েক যজ্ঞপ্রতাপ সিং দাবি করেছেন, তাঁদের দেশ বাঁচানোর সঙ্গে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের বাড়িতে পরিচারকের কাজও করতে হয়। জুতো পালিশ থেকে সবকিছু। জওয়ানরা প্রতিদিন যেভাবে তাঁদের দুর্দশার কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরছেন তাতে রীতিমত বিব্রত সেনাবাহিনী। এদিন সেনাবাহিনীর প্রধান বিপিন রাওয়াত জওয়ানদের অনুরোধ করেন তাঁদের কোনও অভিযোগ থাকলে তা তাঁর দফতরে সরাসরি জানাতে। তিনি ওই জওয়ানের পরিচয় গোপন রেখেই বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবে অভিযোগ তুলে না ধরার জন্য জওয়ানদের অনুরোধ জানান তিনি। পাশাপাশি সেনাপ্রধানের দাবি, দেশের প্রত্যেক সেনাই তাঁর কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কখনও খাবারের মান নিয়ে অভিযোগ তো কখনও ব্যবহার নিয়ে। এভাবে পরপর অভিযোগ সামনে আসতে থাকলে এক সময়ে অন্যরাও অভিযোগ করার সাহস পেয়ে যেতে পারেন। সেই পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই সেনাপ্রধানের সামনে আসাকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসাবেই দেখছেন অনেকে।