কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার ট্রালের সাইমু এলাকায় একটি বাড়িতে লুকিয়ে আছে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন হিজবুল মুজাহিদিনের সদস্য সবজার আহমেদ সহ ২ সন্ত্রাসবাদী। এই খবর পাওয়ার পরই ৪২ নম্বর রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও কাশ্মীর পুলিশের বিশেষ দল বাড়িটি ঘিরে ফেলে। তখন শুক্রবার সন্ধে সাড়ে ৭টা। তারপর থেকে একটানা জঙ্গি ও পুলিশের মধ্যে গুলির লড়াই চলতে থাকে। রাতভর এমন চলার পর শনিবার সকালে সুরক্ষা বাহিনীর গুলিতে মৃত্যু হয় সবজারের। তার সঙ্গে থাকা ২ জঙ্গির যদিও কোনও খবর এখনও পুলিশ জানাতে পারেনি। তবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত তল্লাশি অভিযান জারি ছিল। মৃত সবজার কাশ্মীরে মৃত হিজবুল নেতা বুরহান ওয়ানির ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। অন্যদিকে সুরক্ষা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে আরও ৭ জঙ্গি নিকেশ হয়েছে। এদিকে পুলিশ যখন অভিযান চালাচ্ছে তখন কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীরা সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে জঙ্গিদের সাহায্যে স্থানীয়দের বেরিয়ে আসার আবেদন জানাতে থাকে। ট্রালের বেস কয়েক জায়গায় মাইক বাজিয়েও সাহায্য চায় তারা। এদিকে সবজারের মৃত্যু উপত্যকায় সন্ত্রাসের বাতাবরণে বড় সাফল্য বলেই মনে করছে প্রশাসন।