মামুলি ফলের খোসা রুখে দেবে ক্যানসারের সম্ভাবনা, বলছে গবেষণা
এ ফল বাজারে আকছার পাওয়া যায়। সেই ফলের আবার ফেলে দেওয়া খোসা! সেই খোসাতেই লুকিয়ে আছে ক্যানসার রুখে দেওয়ার উপাদান। এমনই দাবি আইআইটি বিএইচইউ-র গবেষকদের।
বাজার থেকে শুরু করে ফলের দোকান, এমনকি রাস্তার কোণায় বসে থাকা ছোট ফল বিক্রেতাও এই ফল সাজিয়ে ক্রেতার অপেক্ষায় থাকেন।
কার্যত মামুলি ও সহজলভ্য এই ফলের রস নয়, খোসা যা আদপে ফেলে দেওয়া হয়, সেই খোসাতেই লুকিয়ে আছে অনন্য সম্পদ।
যা রুখে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে ক্যানসারকে। রুখে দিতে পারে অন্য মারণ ব্যাধিকেও। এমনই দাবি করলেন আইআইটি বিএইচইউ-র বায়োকেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের গবেষকেরা।
গবেষকদের দাবি, মৌসম্বির খোসায় রয়েছে সেই উপাদান যা ম্যাজিক দেখাতে পারে। তাঁদের মতে, জলে থাকে বিষাক্ত ভারী ধাতুর অণু। যা ভয়ংকর ক্ষতিকর। এই ভারী ধাতুর অণুগুলিকে জল থেকে সাফ করে দিতে পারে মৌসম্বির খোসায় থাকা উপাদান।
গবেষকেরা জানাচ্ছেন, জলে থাকা হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম নামে বিষাক্ত পদার্থকে সাফ করতে মৌসম্বির খোসা থেকে নেওয়া উপাদান দিয়ে তৈরি একটি পরিবেশ বান্ধব যন্ত্র তৈরি করেছেন তাঁরা। যা জলকে সাফ করতে পারে।
প্রসঙ্গত এই হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম নামে পদার্থই ক্যানসার সহ লিভার বা কিডনির সমস্যা তৈরি করে। জন্ম দেয় চামড়ার নানা রোগও।
জল থেকে যদি হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়াম সাফ করে দেওয়া যায় তাহলে জল থেকে আর কোনও রোগ ছড়াতে পারবেনা। নোংরা জলে মিশে থাকা হেক্সাভ্যালেন্ট ক্রোমিয়ামও এই মৌসম্বির খোসার উপাদান থেকে তৈরি যন্ত্র দিয়ে মুছে দেওয়া যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন গবেষকেরা।
তাহলে কি আগামী দিনে মৌসম্বি ত্রাণকর্তা হতে চলেছে? অমূল্য সম্পদ হিসাবে চিহ্নিত হতে চলেছে এই মামুলি ফল? হয়তো তাই। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা