ভবিষ্যতের জ্বালানি হতে পারে কমলার খোসা, বলছেন গবেষকেরা
কমলালেবুর খোসা আর কে খায়? হয় তা ফেলে দেওয়া হয়, নয়তো খুব বেশি হলে মুখে মহিলারা মাখেন রূপবৃদ্ধিতে। কিন্তু তা আগামী দিনের চালিকা শক্তি হতে পারে।
কমলালেবু খেতে অধিকাংশ মানুষই পছন্দ করেন। বিশেষত শীতের সময় সকলের অন্যতম প্রিয় ফলে পরিণত হয় কমলালেবু। কমলালেবুর খোসা দিয়ে মিষ্টির এসেন্স তৈরি হয়। ঘরোয়াভাবে মহিলারা তা ফেসপ্যাক করে ব্যবহার করে থাকেন।
এছাড়া অধিকাংশ সময় ভিতরের লেবুর কোয়া খেয়ে খোসা ফেলে দেওয়া হয়। কিন্তু আগামী দিনে তা আর হয়তো ফেলতে পারবেন না কেউ। কারণ কমলালেবুর খোসায় লুকিয়ে আছে আগামীর চালিকাশক্তি।
আইআইটি মান্ডির একদল গবেষক কমলালেবুর খোসাকে একদম অন্য কাজে ব্যবহার করছেন। তাঁরা কমলালেবুর খোসায় থাকা হাইড্রোচার নামে উপাদানকে অনুঘটকের কাজে ব্যবহার করছেন বিশেষ ধরনের জ্বালানি তৈরি করতে।
এখন ক্রমশ নানা ধরনের জ্বালানি তৈরির চেষ্টা চলছে। পেট্রোল, ডিজেল ক্রমশ ফুরিয়ে আসছে। ফুরিয়ে আসছে কয়লাও। তাই এবার বায়োমাস থেকে জ্বালানি তৈরির চেষ্টা চলছে জোরকদমে।
আর সেই বায়োমাস থেকে জ্বালানি তৈরি করতে যে অনুঘটকের প্রয়োজন পড়ে তা লুকিয়ে আছে কমলালেবুর খোসায়। ফলে বায়োমাস বা উদ্ভিদ প্রধান উপাদানকে কাজে লাগিয়ে এখন যে জ্বালানির প্রয়োজন মেটানোর চেষ্টা চলছে তাতে বায়োমাস এক বড় ভূমিকা নিচ্ছে।
ভারতে এখন তেল, কয়লা ও প্রাকৃতিক গ্যাসের পর জ্বালানির প্রয়োজন মেটাচ্ছে বায়োমাস থেকে তৈরি জ্বালানিই। গবেষকেরা বলছেন বায়োমাস থেকে জ্বালানি তৈরি করতে সবচেয়ে কম খরচের অনুঘটক হাইড্রোচার। যা কমলালেবুর খোসায় পাওয়া যাচ্ছে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা