প্রহরীকে আকাশে ওড়াল আইআইটি
আইআইটির ছাত্রদের এই যন্ত্র ৫ কেজি পর্যন্ত ভার বহন ছাড়াও আকাশ পথে নজরদারি চালাতে পারে। এরসঙ্গে ১টি হেলিকপ্টার যুক্ত করা রয়েছে।
প্রহরীর কাজ কী? নজর রাখা। কোথাও কোনও অপরাধ হচ্ছে কিনা দেখা। কেউ অপরাধ করে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করা। ধাওয়া করে পাকড়াও করা।
কিন্তু পুরো কাজটা একজন প্রহরীকে জমিতে থেকে করতে হয়। কারণ মানুষ তো আর আকাশে উড়বে না। কিন্তু এবার প্রহরী আকাশেও উড়বে। নজরদারিও করবে। ধাওয়া করে পাকড়াও করবে।
কানপুর আইআইটি-র ছাত্ররা এমন একটি ড্রোন তৈরি করেছেন যা ৪ থেকে ৫ কেজি ওজন বহনে সক্ষম। আবার প্রহরার কাজেও সিদ্ধহস্ত। যার নাম দিয়েছেন ‘প্রহরী’।
আইআইটির ছাত্রদের এই ড্রোন ৫ কেজি পর্যন্ত ভার বহন ছাড়াও আকাশ পথে নজরদারি চালাতে পারে। এরসঙ্গে ১টি হেলিকপ্টার যুক্ত করা রয়েছে। ছোট হেলিকপ্টার।
যদি কোনও দুর্বৃত্ত ড্রোন দেখতে পায় তাহলে তাকে ধাওয়া করে পাকড়াও করতেও সক্ষম প্রহরী। এই ড্রোন সীমান্ত প্রহরার কাজে খুব বড় ভূমিকা নিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই ড্রোন তৈরি করতে ২ জন অধ্যাপকের সাহায্য পেয়েছেন ছাত্ররা। অধ্যাপকদের নেতৃত্বেই এই ড্রোন তাঁরা তৈরি করেছেন।
প্রহরী দুর্বৃত্ত ড্রোন পাকড়াও করতে সক্ষম। কিন্তু যেই অন্য ড্রোন সে পাকড়াও করবে তখন তাকে অতিরিক্ত ওজন বহন করতে হবে। তখন কী পারবে প্রহরী সেই ওজন বহন করতে?
সেকথা মাথায় রেখে একটি অটোপাইলট মোড এই ড্রোনে রয়েছে। তা ওজন পরিবর্তন বুঝে সেইমত ড্রোনটিকে ওড়াতে সাহায্য করবে। জাতীয় সুরক্ষার কাজে এই ড্রোন বড় ভূমিকা নিতে পারে। বিশেষত সীমান্ত নজরদারিতে।
আজকাল অন্য দেশের ড্রোন ঢুকে নজরদারি চালানোর প্রবণতা বেড়েছে। এভাবে অন্য দেশের ড্রোন ভারতীয় আকাশসীমায় ঢুকে পড়লে তাকে ধাওয়া করে পাকড়াও করতে পারবে প্রহরী। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা