মধ্যপ্রদেশে ১৫ মাসের কংগ্রেস সরকার এবার পতনের মুখে। জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়ার নেতৃত্বে ১৯ জন কংগ্রেস বিধায়কের ইস্তফার পর মধ্যপ্রদেশে সরকার বাঁচানো কংগ্রেসের পক্ষে যে কঠিন তা মেনে নিচ্ছে খোদ কংগ্রেস নেতৃত্বই। এরমধ্যেই কংগ্রেস জানিয়েছে দল বিরোধী কাজের জন্য জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়াকে বহিষ্কার করেছে দল। আর কংগ্রেসের তরফে একথা জানানোর পরই বিজেপি মাঠে নেমেছে। বিজেপির পাল্টা দাবি যিনি আগেই কোনও দল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন, তাঁকে কীভাবে দল বহিষ্কার করতে পারে।
বিজেপি বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে কংগ্রেস যতই বোঝানোর চেষ্টা করুক যে তারা জ্যোতিরাদিত্যকে বহিষ্কার করেছে, আসলে জ্যোতিরাদিত্যই দল ছেড়েছেন। এই দাবির নেপথ্যে কারণও রয়েছে।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর বাসভবনে গিয়ে দেখা করেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া। সঙ্গে ছিলেন অমিত শাহ। তারপরই বৈঠক শেষে বেরিয়ে জ্যোতিরাদিত্য তাঁর ইস্তফাপত্র সনিয়া গান্ধীর কাছে পাঠিয়ে দেন। ট্যুইট করে সে সংবাদ জানিয়েও দেন তিনি।
জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ইস্তফা দেওয়ার পর পরই কংগ্রেসও জানায় তারা তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে। দল বিরোধী কাজের জন্য। কিন্তু আগে ইস্তফার খবর সামনে আসে। তারপর কংগ্রেস জানায় বহিষ্কারের কথা। আর এখানেই বিজেপি চেপে ধরে। এদিকে মধ্যপ্রদেশের কংগ্রেস সরকারের আয়ু শেষ বলেই মনে করছেন সকলে। যদিও শেষ চেষ্টা করতে দলের বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে বসেন কমলনাথ। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা