শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিল কংগ্রেস
শচীন পাইলটের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের রাস্তায় হাঁটল কংগ্রেস। শচীনের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হল উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও রাজ্যের কংগ্রেস সভাপতির পদ।
জয়পুর : মধ্যপ্রদেশের পর রাজস্থান। কংগ্রেসে ফের প্রবীণ-নবীন দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ল। আর তাতে ঠিক মধ্যপ্রদেশের রাস্তায় হেঁটেই কংগ্রেসের নবীন প্রজন্ম বিদ্রোহের পথে হাঁটল। রাজস্থানের শচীন পাইলট আগেই মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌতের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। পরে তিনি এটাও প্রকাশ্যে জানান যে অশোকের সরকার ধরে রাখার মত সংখ্যা গরিষ্ঠতাই নেই। কংগ্রেস হাইকমান্ড বাধ্য হয়েই বিষয়টি মেটাতে হস্তক্ষেপ করে।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার বিষয়টি মিটমাট করাতে কংগ্রেস নেতৃত্ব ২টি বৈঠক ডাকে। কিন্তু ২টির একটিতেও শচীন পাইলট হাজির হননি। তারপরই ক্ষুব্ধ নেতৃত্ব তাঁকে রাজস্থানের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও রাজস্থান প্রদেশ কংগ্রেসের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেয়। বৈঠকে ডাকা সত্ত্বেও না আসায় তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ এনেই শচীনের হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হল পদ।
অশোক গেহলৌতের দাবি অবশ্য তাঁর সরকার টিকিয়ে রাখার মত যথেষ্ট সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে। তাই চিন্তার কিছু নেই। তবে কংগ্রেসের একাংশ মনে করছে এই আত্মবিশ্বাস মধ্যপ্রদেশের জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া বার হওয়ার পর কমলনাথও প্রকাশ্যে দেখিয়েছিলেন। কাজের কাজ কিছু হয়নি। বরং মধ্যপ্রদেশ জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া ও তাঁর অনুগামী বিধায়কদের ধাক্কায় পড়ে যায়। এখন দেখার ২টো বিষয়। এক, শচীন পাইলট এবার বিজেপিতে যোগ দেন কিনা, দুই রাজস্থান সরকার অশোক গেহলৌত বাঁচাতে পারেন কিনা। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা