ক্ষমতায় এলে কংগ্রেস যা যা করবে বলে তাদের ইস্তেহারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে তাতে তাদের কল্পতরু বললে ভুল হবে না। মঙ্গলবার দিল্লিতে কংগ্রেস লোকসভা ভোটের আগে তাদের ইস্তেহার প্রকাশ করে। ইস্তেহার প্রকাশ করেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী ও ইউপিএ চেয়ারপার্সন সনিয়া গান্ধী। ইস্তেহার জুড়ে রয়েছে প্রতিশ্রুতির বন্যা। কর্মসংস্থান থেকে কৃষিঋণ মকুব, ১০০ দিনের কাজ শেষে ১৫০ দিনের কাজ থেকে ন্যায় নাম দিয়ে ন্যূনতম আয় যোজনা সবই জায়গা পেয়েছে ইস্তেহারে।
বিভিন্ন ভাগে ভেঙে ইস্তেহারে বলা হয়েছে, ‘কাম’ অর্থাৎ কর্মসংস্থান ও বৃদ্ধি, ‘দাম’ অর্থাৎ সকলের জন্য কার্যকরী অর্থনীতি, ‘শান’ অর্থাৎ ভারতের গর্ব, ‘সুশাসন’ অর্থাৎ ভাল প্রশাসন, ‘স্বভিমান’ অর্থাৎ পিছিয়ে পড়া মানুষদের জন্য আত্মসম্মান বৃদ্ধি ও ‘সম্মান’ অর্থাৎ সকলের জন্য মাথা উঁচু করে বাঁচার বন্দোবস্ত। এভাবে ভেঙে ভেঙে কংগ্রেস ইস্তেহারে তাদের প্রতিশ্রুতিকে সামনে এনেছে।
দেশের কোনও ব্লকে বা জেলায় ১০০ দিনের কাজ সম্পূর্ণ হলে ১৫০ দিনের কাজ দেওয়া হবে শ্রমিকদের বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মূলত সেক্ষেত্রে জল সেচের প্রয়োজনীয় কাজে ব্যবহার করা হবে। অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে জানানো হয়েছে, যে চাকরিগুলি রয়েছে সেগুলিকে রক্ষা করা ও নতুন চাকরি তৈরি করা হবে ক্ষমতায় এলে তাদের কাজ।
এছাড়া দেশ জুড়ে কৃষকদের ‘কর্জ মুক্তি’ বা ঋণ মুক্তির আশ্বাস দিয়েছে কংগ্রেস। আগেই রাহুল গান্ধী ঘোষণা করেছিলেন দেশের ২০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ৭২ হাজার টাকা প্রতিবছর পাঠিয়ে দেওয়া হবে। সেই প্রতিশ্রুতির কথাও জায়গা পেয়েছে ইস্তেহারে।
মোদী সরকারকে হুঁশিয়ার করে কংগ্রেস তার ইস্তেহারে জানিয়েছে তারা ক্ষমতায় এলে রাফাল চুক্তি তো বটেই এছাড়াও মোদী সরকারের নানা চুক্তির তদন্ত করবে। এছাড়া ছাত্র থেকে ছোট ব্যবসায়ী বা নতুন ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দেওয়ার কথা ইস্তেহারে জানিয়েছে কংগ্রেস। শিল্প থেকে শিক্ষা, কৃষি থেকে কর্মসংস্থান, সবই জায়গা পেয়েছে কংগ্রেসের ইস্তেহারে।
তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নেওয়া যায় কংগ্রেস জিতে ক্ষমতায় এল তাহলেও কিন্তু এসব প্রতিশ্রুতি শুনতে যতটা ভাল কাজে করে দেখানো ততটাই কঠিন। একথা কিন্তু মেনে নিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞেরা।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)