রবিবার সকাল। ভোটের বাজারে সকাল থেকেই রাজনৈতিক দলগুলির কার্যালয় থেকে নেতাদের বাড়ি, ব্যস্ততা তুঙ্গে উঠছে। ঠিক সেই সময়েই কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর দিল্লির বাসভবনের সামনে হাজির হন কয়েক শো কংগ্রেস কর্মী-সমর্থক। কংগ্রেস নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সুর চড়ান তাঁরা। ভোটের মধ্যে খোদ রাহুল গান্ধীর বাড়ির সামনে কংগ্রেস কর্মীদের বিক্ষোভ কংগ্রেস নেতৃত্বকে রীতিমত চাপে ফেলে দেয়।
অন্যদিকে বিজেপি সহ অন্য দলগুলি আড়ালে হাসাহাসি শুরু করে। কংগ্রেসের এমন বেকায়দায় পড়া খুব স্বাভাবিকভাবেই তারিয়ে উপভোগ করেছে বিজেপি সহ অন্য বিরোধীরা। বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড। মুখে ছিল দলবিরোধী, দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে স্লোগান।
কিন্তু কেন এমন কাণ্ড? আসলে কোনওভাবে খবর রটে যে কংগ্রেস হাইকমান্ড দিল্লি কংগ্রেস প্রধান রাজ কুমার চৌহানকে টিকিট দেবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমন একটা খবর কানে যেতেই রাজ কুমার চৌহানের সমর্থকেরা রবিবার হাজির হন সোজা রাহুল গান্ধীর বাসভবনের সামনে। শুরু করেন বিক্ষোভ। যদিও কংগ্রেস সূত্রের খবর এমন কোনও সিদ্ধান্ত নাকি দল নেয়নি।
কংগ্রেস সূত্র জানাচ্ছে, দিল্লির ৭টি আসনের জন্য ইতিমধ্যেই কংগ্রেস হাইকমান্ড প্রার্থী বাছাই সেরে ফেলেছে। সেই তালিকামত নতুন দিল্লি থেকে দাঁড়াতে চলেছে কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মন্ত্রী অজয় মাকেন, চাঁদনি চক থেকে প্রার্থী হতে পারেন দিল্লির ৩ বারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত, পশ্চিম দিল্লি থেকে প্রার্থী হতে পারেন অলিম্পিক পদকজয়ী কুস্তিগির সুশীল কুমার।
পূর্ব দিল্লি আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন অরবিন্দর লাভলি, দক্ষিণ দিল্লি থেকে রমেশ কুমার, উত্তরপূর্ব দিল্লি থেকে জেপি আগরওয়াল। দিল্লির অন্য আসন উত্তরপশ্চিম দিল্লি থেকে প্রার্থী করা হতে পারে রাজ কুমার চৌহানকে। তারপরেও কীভাবে রাজ কুমার চৌহানের সমর্থকদের কানে এমন কথা পৌঁছল তা বুঝে উঠতে পারছে না কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব।
(সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা)