লোকসভা নির্বাচনে দলের শোচনীয় পরাজয়ের দায় নিজের কাঁধে নিয়ে দলের সভাপতি পদ থেকে ইস্তফার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। দলের কর্মসমিতির বৈঠকেই এই ইচ্ছা পেশ করেন তিনি। তখনই তাঁর সেই ইচ্ছাকে মান্যতা দেননি দলের অন্যরা। কিন্তু নিজের ইস্তফার প্রশ্নে অনড় অবস্থান নেন রাহুল গান্ধী। ফলে তাঁকে বোঝাতে তাবড় কংগ্রেস নেতৃত্ব একে একে তাঁর বাড়িতে হাজির হতে থাকেন।
গত মঙ্গলবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলৌতও হাজির হন রাহুলের দিল্লির বাসভবনে। এই অশোক গেহলৌতের ওপর ভোটের হারের পর রেগেই ছিলেন রাহুল। রেগে মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কমল নাথের ওপরও। এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল ছেলেদের জেতাতে তাঁরা যতটা মরিয়া ছিলেন, দলকে জেতাতে ততটা মরিয়া ছিলেন না। অন্তত রাহুল গান্ধী তেমনই মনে করেন। এই অবস্থায় তিনি কারও সঙ্গে দেখা করতে চাইছিলেন না। তবে গত মঙ্গলবার তাঁর সঙ্গে যাঁরা দেখা করতে আসেন তাঁর সঙ্গেই রাহুল গান্ধী দেখা করেন। সকলেই তাঁকে দলের নেতৃত্বে থাকার অনুরোধ জানান।
এরপর বুধবার সকাল থেকই বেঙ্গালুরু, চেন্নাই সহ দেশের বেশ কয়েক জায়গায় রাহুল গান্ধীর ইস্তফার সিদ্ধান্ত ফেরানোর দাবিতে অবস্থান শুরু করেন কংগ্রেস নেতা কর্মীরা। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে তাঁদের একটাই আর্জি, দলের সভাপতি পদে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিন রাহুলই। এই একই দাবিতে রাহুল গান্ধীর বাসভবনের সামনেও অবস্থানে বসেছেন কংগ্রেস নেতা-কর্মীরা। রাহুল গান্ধীর বাসভবনের সামনে বুধবার সকাল থেকেই কংগ্রেস কর্মীদের ভিড় জমতে থাকে। তাঁদের নেতৃত্বে ছিলেন দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত। সকাল থেকেই জমায়েত বাড়তে থাকে। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা