জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের আন্দোলনে অশান্ত হয়েছিল দিল্লির রাজপথ। সেটা ছিল গত সোমবার। বুধবার প্রায় একই চিত্র ধরা পড়ল সংসদের কাছেই শাস্ত্রী ভবনের সামনে। এখানেই ব্যারিকেড করে কংগ্রেস যুব মোর্চার মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। আর তারপরই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। অনেক কংগ্রেস যুব কর্মী ব্যারিকেড টপকে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। তাঁদের আটক করে পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে ধুন্ধুমার চলতে থাকে।
কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী সহ রাহুল গান্ধী ও প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরার সুরক্ষায় এসপিজি তুলে নিয়েছে কেন্দ্র। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সেকথা জানিয়ে দিয়েছে। এদিন তারই প্রতিবাদ করে কংগ্রেসের এই আন্দোলন। বিক্ষোভকারীরা সাফ জানান, যদিও গান্ধী পরিবারের কারও সঙ্গে কিছু হয়ে যায় তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-র কুশপুতুলও দাহ করেন তাঁরা।
পরিস্থিতি যথেষ্ট জটিল আকার নেয় এদিন। দিল্লির বুকে অনেকদিন পর কংগ্রেস এতটা সক্রিয় আন্দোলনে সামিল হল। পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ধুন্ধুমারে বিশাল এলাকা জুড়ে সাধারণ জনজীবন বিঘ্নিত হয়। যান চলাচল করতে পারেনি। শাস্ত্রী ভবন ও কৃষি ভবনের সামনে প্রচুর পুলিশ মোতায়েন ছিল। সেন্ট্রাল সেক্রেটারিয়েট মেট্রো স্টেশনের গেটও এদিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। — সংবাদ সংস্থার সাহায্য নিয়ে লেখা