আইপিএলে পরপর দুটো ম্যাচ হেরে তালিকায় অবনমন শুরু হল কলকাতার। এদিন দিল্লির কাছে ২৭ রানে হেরে যায় শাহরুখের ছেলেরা। বড় রানের টার্গেট। তাই শুরু থেকে উইকেট বাঁচিয়ে স্টেডি ম্যাচ খেলার চেষ্টা করে গম্ভীর উথাপ্পা জুটি। কিন্তু লাভ হয়নি। তৃতীয় ওভারে বাজে ব্যাটিংয়ের খেসারত দিতে হয় গম্ভীরকে। তারপর থেকে পর পর উইকেট হারিয়ে যখন কলকাতা ব্যাকফুটে তখন একদিকে একা দাঁড়িয়ে রবিন উথাপ্পা।
উথাপ্পা-সূর্যকুমারের হিসেব করা সঙ্গত কলকাতাকে ক্রমশ ভাল জায়গা দিতে শুরু করে। পরে রাসেল ব্যাট করতে নামার পর আশার আলো আরও উজ্জ্বল হয়। কিন্তু যখন কলকাতার সমর্থকেরা জেতার ক্ষীণ আলো গায়ে মাখতে শুরু করেছেন ঠিক তখনই ফের রাসেলের উইকেট তাঁদের সব মনোবলে জল ঢেলে দেয়। এরপর আর সেভাবে জেতার লক্ষ্য ছোঁয়ার ব্যাটিং দেখাতে পারেনি কেকেআর। টস জিতে পড়ন্ত বিকেলে ফিরোজ শাহ কোটলার সবুজ গালিচায় দিল্লিকে ব্যাটিং করতে পাঠায় কলকাতা।
দিল্লির হোম গ্রাউন্ড হলেও এই মাঠেই অনুশীলন করে গম্ভীর ক্রমশ গৌতম গম্ভীর হয়ে উঠেছেন। ফলে তাঁরও এটা হোম গ্রাউন্ড। মাঠের প্রতিটি ঘাস তাঁর চেনা। চেনা মাঠের চরিত্রও। বল করতে নেমে প্রথম ওভারেই শুরু হয় রাসেল ম্যাজিক। প্রথম চার বলেই ২ উইকেট পকেটে পুরে দিল্লিকে চাপে ফেলে দেন তিনি। দলের বেহাল দশা কিছুটা সামলে ওঠার চেষ্টা করলেও বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি স্যামসনের লড়াই। এরপরই ঘুরে দাঁড়ায় দিল্লি। করুণ নায়ার ও বিলিংসের দুরন্ত সঙ্গত দিল্লিকে ক্রমশ শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করিয়ে দেয়। আর স্লগ ওভারে ১১ বলে ৩৪ রান করে কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেন ব্রেথওয়েট। ফলে ২০ ওভারের শেষে ১৮৬ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে কেকেআরের দিকে শক্ত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয় জাহিরের ছেলেরা।