স্বপ্নের জয় বললেও বোধহয় কম বলা হবে। পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করে বেঙ্গালুরুকে ৫ উইকেটে হারিয়ে তাদের মাঠেই জয় ছিনিয়ে নিল কলকাতা। দেখিয়ে দিল যেদিন ইউসুফ আর রাসেলের মত হার্ড হিটার দাঁড়িয়ে যায় সেদিন কোনও রানই চ্যালেঞ্জ হয়ে সামনে দাঁড়াতে পারে না।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঘরের মাঠে প্রথম দিকে সাদামাটা খেলাই উপহার দেয় রয়্যাল চ্যালেঞ্জারর্স ব্যাঙ্গালোর। ১৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন প্রায় ১২০।
এই অবস্থায় আচমকাই হাত খোলে বেঙ্গালুরু। তারপর থেকে আর দম নেওয়ার সময় পাননি দর্শকরা। চার, ছয়ের উচ্ছ্বাস এতটাই লাগাতার ছিল যে হাঁপিয়ে পড়েন বেঙ্গালুরুর সমর্থকেরা। শেষ কয়েক ওভারে ৭২ রান খাতায় যোগ করে বিরাটের দল।
উমেশ যাদব, নারিনদের জঘন্য বোলিং আর গম্ভীরের ভুল সিদ্ধান্তের খেসারত বলে বলে গুনতে হয় কলকাতাকে। ১৮৫ রানের বিশাল ইনিংস তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই উত্থাপ্পার উইকেট হারিয়ে কলকাতা বুঝিয়ে দেয় খেলায় লড়াই দেওয়ার মানসিক প্রস্তুতিটুকুও তাদের নেই।
এরপর একে একে উইকেট হারিয়ে চাপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। অন্যদিকে বিরাটের মুখের হাসি চওড়া হতে থাকে। কিন্তু চার উইকেট হারানোর পর যখন হার প্রায় নিশ্চিত তখনই হাল ধরে আন্দ্রে রাসেল আর ইউসুফ পাঠানের জুটি। শুরু হয় রাসেলের ছক্কা বৃষ্টি।
তবুও রান এতই বেশি যে বেঙ্গালুরুর দর্শকরা আশা ছাড়তে পারেননি। কিন্তু ওয়াটসনের ১৬ তম ওভারে সব হিসেব বদলে দেন পাঠান। এক ওভারে ২৪ রান তুলে কার্যতই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। খেলা নিজেদের দখলে নিয়ে নেয় কলকাতা।
যখন কলকাতা জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলেছে তখনই ছন্দপতন। রাসেলকে প্যাভিলিয়নে পাঠায় চহলের ঘূর্ণি। মাঠে নামেন সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু তাতে কি। তখনও মাঠে পাঠান। হলও তাই।
পাঠানের চওড়া ব্যাটে ফের ছয় ও চার। আর ম্যাচ হাতের মুঠোয়। ডাহা হারা ম্যাচে ব্যাটিংয়ের ভেল্কিতে নিমেষে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় কেকেআর। বিরাটদের তাদের মাঠেই পাহাড়প্রমাণ রান তাড়া করে হারিয়ে দেয় শাহরুখের ছেলেরা। বুধবার ইডেনে তাদের পরবর্তী প্রতিপক্ষ পঞ্জাব। টানা ৬টি অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলে ঘরে ফিরবে টিম কেকেআর।