
বিরাট রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমেও যে ছেলেখেলা করে কোনও দলকে হারানো যায় তা দেখিয়ে দিল বিরাট কোহলির দল। আর আয়নার সামনে দাঁড় করিয়ে দিল কেকেআরকে। দেখিয়ে দিল আসলে কতটা দুর্বল গম্ভীরের এই ব্রিগেড। এদিন ইডেনে কলকাতাকে ৯ উইকেটে হারিয়ে দিল বেঙ্গালুরু রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উত্থাপ্পার উইকেট হারায় কলকাতা। কিন্তু তারপর গম্ভীর-পান্ডে জুটির দুরন্ত ব্যাটিং ১০ ওভারের পর কলকাতাকে পৌঁছে দেয় ১০০ রানের ঘরে। যারপর ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের ধারণা ছিল ঘরের মাঠে ২০০ রানের একটা বড় ইনিংস টার্গেট হিসাবে দিতে চলেছে গম্ভীররা। কিন্তু ৫ ওভারের মধ্যে পরপর তিনটি উইকেট খুইয়ে কার্যত সেই আশায় জল ঢেলে দেয় কলকাতা। পরে ব্যাট করতে নেমে রাসেল-সাকিব জুটি ২০০ না হলেও তার কাছাকাছি রান নিয়ে যায়। ১৮ রানে জয়ের লক্ষমাত্রা তাড়া করতে নেমেই শুরু হয় গেইল ঝড়। ফর্মে না থাকা গেইল হঠাৎই যেন এদিন ফর্ম ফিরে পেলেন। চার, ছয়ের বন্যায় বিশাল রানের লক্ষ্যমাত্রাকে নেহাতই সহজ একটা কাজে পরিণত করে দেন তিনি। গেইল তাণ্ডবে কলকাতার বোলিং আক্রমণ তখন তছনছ। এমনই এক পরিস্থিতিতে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় গেইলকে। মাঠে তখন ডেভিলিয়ার্স-বিরাট জুটি। গেইল যাওয়ার পর খেলার গতি কিছুটা পড়লেও বেশ বোঝা যাচ্ছিল ক্রিজে দাঁড়িয়ে থেকে ম্যাচ জেতানোকেই একমাত্র গুরুত্ব দিতে চাইছেন এই দুই স্তম্ভ। কিন্তু সুযোগ একটা এসেছিল। তখনও আশির ওপর রান বাকি। সেই অবস্থায় সাকিবের বলে গম্ভীরের হাতে সহজ ক্যাচ তুলে দেন বিরাট। আর সেই ক্যাচ ফস্কানোর পর গোটা ইডেনই মোটামুটি আন্দাজ করে নেয় বিরাটের ক্যাচ একবার ফেললে কি হতে পারে। হয়তো গম্ভীর নিজেও সেটা আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। কলকাতার পরের খেলা ১৯ মে। প্রতিপক্ষ গুজরাট লায়ন্স। প্রথম চারে টিকে থাকতে এই ম্যাচ জেতা গম্ভীরদের জন্য প্রায় বাধ্যতামূলক হয়ে গেল।