
লিগের শেষ ম্যাচে হায়দরাবাদকে হারিয়ে প্লে-অফের জায়গা পাকা করে নিল কলকাতা। তবে শক্তিশালী হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে এই জয়ে প্রধান ভূমিকা নিয়েছেন ইউসুফ পাঠান ও নবাগত কুলদীপ সিং। ইউসুফের চওড়া ব্যাট আর কুলদীপের ঘূর্ণির কাঁধে ভর করে এদিন প্লে-অফের তরী পার করে নাইটরা। আগামী বুধবার প্লে-অফে ফের এই হায়দরাবাদেরই মুখোমুখি গম্ভীর ব্রিগেড। এদিন প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ঘরের মাঠে ভাল শুরু করেও পরপর ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কলকাতা। কিন্তু সেই চাপ দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। মণীশ পাণ্ডে ও ইউসুফ পাঠানের দুরন্ত ব্যাটিং কলকাতার স্কোর বোর্ডের গতি বজায় রেখে দেয়। বিশেষত এই দুই ভরসার ব্যাট ১১ থেকে ১৪তম ওভারের চার, ছয়ের বন্যা বইয়ে কলকাতাকে ২০০ রান টপকানোর স্বপ্ন দেখাতে শুরু করেন। কিন্তু ১৫ তম ওভারেই ছন্দপতন। আউট হয়ে মণীশ প্যাভিলিয়নে ফেরার পরই রানের গতিতে লাগাম পরিয়ে দেন মুস্তাফিজুর, ভুবনেশ্বর কুমাররা। ফলে ২০ ওভারের শেষে ১৭১ রানেই শেষ হয় কলকাতার ইনিংস। হায়দরাবাদ ব্যাট করতে নামার পর সকলকে চমকে দিয়ে প্রথম ওভার ইউসুফ পাঠানের হাতে তুলে দেন গম্ভীর। তখনই আন্দাজ করা গিয়েছিল পিচের হাল। এরপর যত সময় এগিয়েছে ততই পরিস্কার হয়েছে ঘূর্ণি পিচে ব্যাটে বল আসতে সময় নিচ্ছে। বল স্পিন খাচ্ছে অনেকটা। সেটা মাথায় রেখে একে একে সুনীল নারিন, কুলদীপ সিং, সাকিব উল হাসানকে বল করতে এনে হায়দরাবাদকে লক্ষ্য থেকে দূরে সরিয়ে দিতে থাকেন গম্ভীর। অবশেষে ২২ রান বাকি থাকতেই শেষ হয় ২০ ওভার। প্লে-অফে পৌঁছনোর আনন্দে লাফিয়ে ওঠেন নাইটরা। সঙ্গে যোগ দেয় কানায় কানায় দর্শকপূর্ণ ইডেন। অন্য একটি খেলায় বেঙ্গালুরুর কাছে হেরে এবারের মত আইপিএলের যাত্রা শেষ করে দিল্লি। প্রথম চারে আসে গুজরাট, বেঙ্গালুরু, হায়দরাবাদ ও কলকাতা। ছিটকে গেল পুনে, পঞ্জাব, দিল্লি ও গতবারের চ্যাম্পিয়ন দল মুম্বই।