Sports

বৃষ্টিভেজা মধ্যরাতে হায়দরাবাদকে হারাল কলকাতা

ডু অর ডাই ম্যাচ। ফলে ভুল ত্রুটির কোনও জায়গা নেই। একটা ভুল মানেই নকআউট। এবারের মত আইপিএল অভিযান শেষ। এই অবস্থায় আগের ২টো ম্যাচ হেরে চাপে থাকা কলকাতা খেলতে নেমেছিল গতবারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে। সেই দল যারা গতবারে এই কলকাতাকেই এলিমিনেটরে হারিয়ে ছিটকে দিয়েছিল আইপিএল দৌড় থেকে।

এদিন বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে তাই কলকাতার সকলকেই নিজের সবটুকু দিতে হত। টস জিতে প্রথমে হায়দরাবাদকে ব্যাট করতে পাঠান গৌতম গম্ভীর। স্লো পিচে কলকাতার বোলিং দাপটে ক্রমশ কোণঠাসা হতে থাকে হায়দরাবাদ। পাওয়ার প্লে-র ৬ ওভারে বড় রানের লক্ষ্য থাকে সব দলের। কিন্তু সেখানেই ওয়ার্নারদের আটকে দেন উমেশ, ট্রেন্ট বোল্টরা। রান কম, অথচ ওভার গড়িয়ে যাচ্ছে। এই অবস্থায় রান তোলার মরিয়া তাগিদে শট নিতে গিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় শিখর ধাওয়ানকে। তখনও বিধ্বংসী ওয়ার্নার মাঠে। সঙ্গে নামেন আর এক আতঙ্ক কেন উইলিয়ামসন।


এঁদের দুজনে জুটি বেঁধে স্কোর বোর্ডে আরও ৫০ রান যোগ করেন। কিন্তু তারপর দলের ৭৫ রানের মাথায় নামল ধস। কেনকে নাইল ফেরত পাঠানোর ২ বল বাদেই পীযূষের ঘূর্ণির শিকার হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন ওয়ার্নার। এরপর নিয়মিতভাবে উইকেট পড়তে থাকে। এক এক করে যুবরাজ সিং, বিজয় শঙ্কর, নমন ওঝা, জর্ডন প্যাভিলিয়নমুখো হলেও রান তেমন ওঠেনি। মাত্র ১২৮ রানে ২০ ওভার শেষ করে হায়দরাবাদ। তাদের শেষ ২ বল খেলার সময় মাঠে কিন্তু ভাল বৃষ্টি পড়ছিল। বোলার বোল্ট আম্পায়ারকে জিজ্ঞাসাও করেন এমন ঝড়বৃষ্টির মধ্যেই তিনি বল করবেন কিনা! আম্পায়ার ওই ২ বল খেলিয়ে হায়দরাবাদের ইনিংস শেষ করিয়ে নেন। কিন্তু এরপর শুরু হয় দীর্ঘ প্রতীক্ষা।

ঢাকা মাঠে তখন বৃষ্টির দাপট। খেলা কখন শুরু হবে তাও পরিস্কার নয়। ফলে অপেক্ষা। মাঝে মাঝেই চলে মাঠ নিরীক্ষণ। ১২টা নাগাদ যখন প্রায় খেলা শুরু হয় এমন পরিস্থিতি, ঠিক তখনই ফের নামে টিপটিপ বৃষ্টি। ফের দেরি। অবশেষে রাত ১২টা ৫৫ নাগাদ যখন খেলা শুরু হল, খেলা তখন ডাকওয়ার্থ লুইসের কবলে। কলকাতার সামনে টার্গেট দাঁড়াল ৪৮ রানের। সেটাও করতে হবে ৬ ওভারে। ৩৬ বলে ৪৮ রান করতে হবে এই অবস্থায় খেলতে নেমে ১২ রানের মধ্যে ক্রিস লিন, রবীন উত্থাপ্পা ও ইউসুফ পাঠানের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় কলকাতা। এই অবস্থায় ম্যাচের হাল ধরেন অধিনায়ক গম্ভীর। জাগ্গিকে কার্যত ঠেকনা হিসাবে নন-স্ট্রাইকিং এন্ডে দাঁড় করিয়ে একা হাতে দলকে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন তিনি।


মাত্র ৩২ বলেই জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে দেন গম্ভীর। ব্যক্তিগত স্কোর ৩২ রান। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন ৪ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেওয়া বিধ্বংসী নাথান কুল্টার নাইল। ফাইনালে পৌঁছতে প্রথম হার্ডল পার করলেও শুক্রবার দ্বিতীয় পরীক্ষা কলকাতার। এই মাঠেই মুম্বইয়ের মুখোমুখি গম্ভীররা।

Show Full Article

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button