কেঁদে ককিয়ে ১০০ পার যাকে বলে! নেহাত সূর্যকুমার আর জাগ্গি ছিলেন। না হলে ১০০ রান পার করারও কথা নয় কলকাতার জন্য ‘পয়া’ চিন্নাস্বামীতে। শেষ পর্যন্ত ১০৭ রানে ধরাশায়ী কলকাতার বিশাল ব্যাটিং লাইনআপ। ১০৮ রান করলেই ফাইনালের টিকিট, এই অবস্থায় খেলতে নেমে প্রথম দিকে সামান্য হলেও নড়বড়ে লেগেছে মুম্বইকে। কিন্তু যৎসামান্য রানের লক্ষ্য ছুঁতে যেকোনও ব্যাটসম্যান দাঁড়িয়ে গেলেই হল। ফলে দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পর অধিনায়ক রোহিত আর কুণাল পাণ্ডে জুটি বেঁধে কলকাতাকে নিয়ে মাঠে কার্যত ছেলেখেলা করলেন। পররে রোহিত আউট হলেও খেলা শেষ করেন কুণাল-পোলার্ড জুটি। ১৪ ওভার ৩ বলেই সহজ জয়ে ফাইনালে পুনের বিরুদ্ধে মাঠে নামার লাইসেন্স পাকা করে নেয় এদিনের যোগ্য দল মুম্বই। এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামা কলকাতাকে দেখে প্রথমেই মনে হয়েছিল হেরেই নেমেছে তারা। কয়েক ওভারের মধ্যেই দেখা যায় আশঙ্কা বোধহয় খুব ভুল নয়। মুম্বইকে সাক্ষাৎ যমদূতের মত দেখছে গৌতমের ছেলেরা। আতঙ্কে কাঁপা হাতে সকলেই অগোছালো শট মেরে একের পর এক আউট! যেখানে দলের অন্যরা মুম্বইকে সামনে দেখে ভয়ে কাঁপছে সেখানে গৌতমের উচিত ছিল অধিনায়কোচিত একটা ইনিংস খেলা। কিন্তু অধিনায়ক নিজেই ভয়ে কাঠ! ফলে বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকার শক্তিটুকুও ছিলনা। একাধারে ৫ উইকেট হারানো কলকাতার দলটাকে দেখে মনে হচ্ছিল আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে পারলেই বাঁচে তারা। মুম্বইকে পারলে ওয়াকওভারই দিয়ে দেয়! অগত্যা দলের তথাকথিত নামীদামী খেলোয়াড়েরা পালিয়ে বাঁচার পর ম্যাচের হাল ধারার চেষ্টা করেন সূর্যকুমার ও জাগ্গি। এই দুজনের কৃপায় ১০০ রানটুকু পার করতে পারে কলকাতা। এরপরটা নেহাতই হেলায় ম্যাচ জেতে মুম্বই। বাঁচিয়ে রাখে এনার্জি। যে দল তাদের সামনে দেখেই অর্ধেক হেরে খেলতে নেমেছে তাদের পিছনে অযথা এনার্জি নষ্ট না করে তা বাঁচানোই যে বুদ্ধিমানের কাজ তা মুম্বইয়ের গা ছাড়া হেলায় জয় থেকেই পরিস্কার। আগামী রবিবার আইপিএল ফাইনালে হায়দরাবাদের মাঠে মুখোমুখি মুম্বই-পুনে। এই লড়াই শুধু ডার্বির লড়াই নয়, কাপ জেতারও মরিয়া লড়াই।