এই ফিল্ডিং নিয়ে ক্লাব স্তরেও সমালোচিত হতে হয়। সেখানে এটা তো আইপিএল। জঘন্য ফিল্ডিং প্রথম দিন থেকেই দেখিয়ে আসছে কেকেআর। দ্বিতীয় দিনে তার চরম প্রদর্শন মুম্বইয়ের মাঠে দেখিয়ে দিল তারা। এই ফিল্ডিংয়ের দশা নিয়ে কী করে এরা ক্লাব স্তরের চেয়ে ওপরে খেলছে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিলেন অনেক ক্রিকেট বিশেষজ্ঞ। যার ফলে দল হারল লজ্জার হার। পায়ের তলা দিয়ে একের পর এক চার। পরের পর ফিল্ডিং মিস করে রান দেওয়া। ক্যাচ মিস। সব মিলিয়ে এই হারটা না হারলেই অবাক হতে হত! এদিন প্রথমে ব্যাট করে মণীশ পাণ্ডের দুরন্ত ব্যাটিংয়ের জোরে কলকাতা ১৭৮ রানে শেষ করে ২০ ওভার। ব্যাট করতে নেমে মুম্বই ভাল শুরু করলেও মাঝে পরপর উইকেট হারিয়ে আর কলকাতার ভাল বোলিংয়ের সামনে রানের গতি কমতে শুরু করে। যার ফলে এক সময়ে ১৮ বলে ৪৯ রান করতে হবে অর্থাৎ জয়ের জন্য প্রতি ওভারে রান রেট দরকার ছিল ১৬ রানের ওপরে। তারপরই পাণ্ডিয়া ও রানার ব্যাটিং আগুন ঝরাতে শুরু করে। শেষ ৩ ওভারে কী ওয়াংখেড়ের পিচে বোলারদের জন্য অভিশাপ ভর করে? প্রশ্নটা করতেই হল। কারণ এদিন যে খেলা হল সেখানে শেষ ৩ ওভারে কলকাতা ও মুম্বই ২ দলের ব্যাটসম্যানেরাই অস্বাভাবিক রান ঝুলিবন্দি করে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিলেন। দেখে বারবার মনে হয়েছে আগের ১৭ ওভারে এদের ব্যাটে কী জং ধরেছিল? যাই হোক, হয়তো তারপরও খেলাটা ঘোরানো যেত কিন্তু সেখানে কেকেআরের কফিনে শেষ পেরেকটা পুঁতে দিল অতি জঘন্য ফিল্ডিং।