১৭ রানে হায়দরাবাদকে হারিয়ে ফের লিগ তালিকার শীর্ষে উঠে এল কেকেআর। এদিন টানটান ম্যাচে ইডেনে ব্যাটে বলে কামাল দেখাল গম্ভীরের ছেলেরা। এদিন টস জিতে প্রথমে কেকেআরকে ব্যাট করতে পাঠান হায়দরাবাদ অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার। রান তাড়া করতে সিদ্ধহস্ত কলকাতাকে পরে ব্যাটের কোনও সুযোগ দিতে চাননি তিনি। ব্যাট করতে নেমে এদিনও নারিন তাস খেলেন গৌতম। কিন্তু এবার আর কাজ করল না সেই টোটকা। শুরুটা তেমন আশাপ্রদও হয়নি কেকেআরের। ধীর গতির শুরু দিয়ে একে একে নারিন, গম্ভীর দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ম্যাচের হাল ধরেন মণীশ পাণ্ডে ও রবীন উত্থাপ্পা। এই যুগলবন্দি কেকেআরকে ভাল রানের স্বপ্ন দেখাতে শুরু করে। ১৫ তম ওভারে ব্যক্তিগত ৬৮ রানের দুরন্ত ইনিংস উপহার দিয়ে উত্থাপ্পা আউট হওয়ার পর ইউসুফ পাঠান ও মণীশ পাণ্ডের জুটি রানের গতিকে একইভাবে টেনে নিয়ে যায় ১৮ তম ওভার পর্যন্ত। এরপর যদিও স্লগ ওভাবে মণীশ, পাঠান ও গ্রান্ডহোম দ্রুত ঘরে ফেরেন। মণীশও এদিন ৪৬ রানের একটা অবদান দলের স্কোরে যোগ করেন। ১৭২ রানে শেষ হয় কলকাতার ইনিংস। ১৭৩ রান তাড়া করে জিততে হবে। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে ধাওয়ান-ওয়ার্নার জুটি শুরুতেই ধাক্কা দেয়। দুজনের ব্যাট থেকেই ভাল রান আসতে থাকে। প্রথম ৪ ওভারে ৩২ রান করে জয়ের লক্ষ্যে ছুটটা বেশ জোরকদমেই শুরু করেছিল হায়দরাবাদ। কিন্তু ধাওয়ানের উইকেট পড়ার পর থেকেই নিয়মিতভাবে পড়তে থাকে হায়দরাবাদের উইকেট। যতবারই উইকেট পড়েছে ততবারই রানের গতিতে ছন্দপতন ঘটেছে। যা লক্ষ্য থেকে ক্রমশ দূরত্ব বাড়িয়েছে ওয়ার্নারের দলের। মাঝে যুবরাজ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে মার শুরু করলেও তিনি প্যাভিলিয়নে ফেরার পর ক্রমশ ক্ষীণ হতে থাকে আশা। বেন কাটিং ও নমন ওঝা লক্ষ্যে পৌঁছনোর লড়াই জিইয়ে রাখলেও তাঁরাও বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। অবশেষে জেতার জন্য ১৮ রান বাকি থাকতেই ৬ উইকেট হারানো সানরাইজার্সের ২০ ওভার শেষ হয়ে যায়। ১৭ রানে জিতে রান রেটে এগিয়ে থেকে আইপিএল ক্রমতালিকার শীর্ষে চলে আসে কেকেআর। ৪টে খেলে ৩টে জয় পেয়েছে শাহরুখের ছেলেরা। প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন কলকাতার রবীন উত্থাপ্পা।