একেবারে অঙ্ক কষে খেলা। মাঝেমধ্যে অঙ্কের ছক ভেস্তেছে বটে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই রাশ শক্ত হাতে ধরে নিয়েছে কেকেআর। দিল্লি এদিন ব্যাট, বল বা ফিল্ডিং, কোনও ক্ষেত্রেই বড় একটা দুর্বলতার স্বাক্ষর রাখেনি। জাহিরের বুদ্ধিদীপ্ত অধিনায়কত্ব কলকাতাকে রীতিমত ফাঁপরে ফেলেছে বারবার। কিন্তু সেসব বাধাবিপত্তি কাটিয়ে ফের জয়ের রাস্তা ধরেছে শাহরুখের ছেলেরা। যার পুরস্কারও জুটেছে হাতে গরমে। খেলার প্রায় শেষ প্রান্তে এসে এক রুদ্ধশ্বাস জয় পেল কেকেআর। এদিন টস জিতে ঘরের মাঠে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন জাহির। দিল্লির শুরুটা দুরন্ত হলেও খেলার মধ্যভাগে রানে অনেকটাই লাগাম পরাতে সমর্থ হন নারিন, কুলদীপ, উমেশ, নাইলরা। কিন্তু দিল্লির মাথার দিকের ৫ ব্যাটসম্যানের হাত থেকেই পরিমাণমত রান দিল্লিকে মোটামুটি ভাল জায়গা ধরে রাখতে সাহায্য করে। কম রানে দিল্লিকে ধরে রাখাও হয়তো যেত যদি না ঋষভ পন্থের একটা মারমুখী ব্যাট কলকাতাকে দেখতে না হত। তাতেও কলকাতার জন্য লক্ষ্য বড় একটা কঠিন ছিল না। ১৬৯ রান করতে পারলেই জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই দিল্লির আগুনে বোলিংয়ের সামনে নড়বড় করতে থাকেন গম্ভীর, গ্রান্ডহোম, উত্থাপ্পা। ফলে দ্রুত এঁদের উইকেট হারাতে হয় কলকাতাকে। দলের ২১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে যায় কলকাতা। এই অবস্থায় খেলার রাশ শক্ত হাতে ধরে নেন মণীশ পাণ্ডে ও ইউসুফ পাঠান। শুরু হয় অঙ্ক কষে ব্যাটিং। রানের গতিকে প্রয়োজনীয় রান রেটের কাছাকাছি ধরে রাখতে যতটুকু ঝুঁকি নেওয়া দরকার, ঠিক ততটাই নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন এঁরা। দুজনের মাথায় এটা খুব পরিস্কার ছিল কেউ এখানে আউট হওয়া মানে হারের আরও কাছে পৌঁছে যাওয়া। আর দিল্লির মনোবলকে আরও বাড়াতে সাহায্য করা। উইকেটে তালা পরিয়ে এই দুই ব্যাটসম্যানের যুগলবন্দি ফের কলকাতাকে খেলায় ফিরিয়ে আনে। দলগত ১৩১ রানের মাথায় যদিও একটা অযথা ঝুঁকি কেড়ে নেয় ইউসুফের উইকেট। ৩৯ বলে ৫৯ রানের একটা দুরন্ত ইনিংস খেললেও যখন দলের তাঁকে দরকার ছিল তখন আউট হয়ে ঘরে ফেরেন ইউসুফ। এরপর সূর্যকুমার যাদব মণীশের সঙ্গে জুটি বাঁধলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। তবে পরিকল্পনাটা ভালভাবেই এগিয়ে নিয়ে যান ২ জনে। প্রতি বলে রান চাই। এই নীতিতে রান আর বলের ফারাক বাড়তে দেননি তাঁরা। যদিও ১৯ তম ওভারে উইকেট হারানো ও ক্রিস মরিসের দুরন্ত বোলিং ফের কলকাতাকে চাপের মুখে ফেলে দেয়। ওই ওভারেই একটা নিশ্চিত ছক্কাও আশ্চর্য বুদ্ধিমত্তা দেখিয়ে বাঁচিয়ে দেন সঞ্জু স্যামসন। শেষ ওভারে ৬ বলে ৯ রান করতে হবে এই অবস্থায় প্রথম ৩ বলে মাত্র ১ রান সংগ্রহ করতে পারে কেকেআর। অর্থাৎ ৩ বলে তখন দরকার ৮ রান। কাজটা কঠিন। কিন্তু ঠিক সেই অবস্থায় ফের কামাল দেখান মণীশ পাণ্ডে। ছক্কা হাঁকিয়ে দলকে পৌঁছে দেন ফের জয়ের দোরগোড়ায়। ২ বলে ২ রান দরকার এই অবস্থায় এক বল বাকি থাকতেই পরের বলে ২ রান তুলে জয় ছিনিয়ে নেয় কেকেআর। দুর্দান্ত বোলিং-ফিল্ডিং করেও শেষ রক্ষা করতে পারেনি জাহিরের দিল্লি। তবে এদিন বিশেষ করে যার নাম বলতে হয় তিনি অবশ্যই মণীশ পাণ্ডে। একদিকে দাঁড়িয়ে থেকে অপরাজিত ৬৯ রান করে কলকাতাকে জিতিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরলেন এদিনে নায়ক।
Read Next
Sports
October 12, 2024
ডিএসপি পদ, পুলিশের বড়কর্তা হলেন ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ
October 22, 2024
ক্রীড়াক্ষেত্রে বড় ধাক্কা, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় ভারতের পদকের আশা কমল
October 12, 2024
ডিএসপি পদ, পুলিশের বড়কর্তা হলেন ভারতীয় বোলিংয়ের অন্যতম স্তম্ভ
October 3, 2024
নীরজ চোপড়ার মাকে চিঠি লিখে নিজের মায়ের রান্নার কথা জানালেন প্রধানমন্ত্রী
October 1, 2024
খেলবেন না বুঝিয়েও বছরের পর বছর খেলে যাচ্ছেন, ধোনিকে খোঁচা শাহরুখের
Related Articles
Leave a Reply