কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের কাছে ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মের গেরোয় পড়ে সহজে হেরে গেল কলকাতা নাইট রাইডার্স। কিন্তু শনিবার যে পরিস্থিতি ছিল তাতে পুরো খেলা হলেও কী জিততে পারত কেকেআর? সে প্রশ্ন উঠছে। এদিন কলকাতায় সন্ধের পর ঝড় ওঠে। সঙ্গে নামে বৃষ্টি। কিন্তু ইডেনে ঝড় কিছুটা আগেই শুরু হয়ে গিয়েছিল। যার নাম গেইল আর রাহুলের যুগল ঝড়। কলকাতার বোলারদের নিয়ে যাঁরা এদিন পিচে খেলা করছিলেন। চার, ছয়ের বন্যা বইয়ে দিচ্ছিলেন। এই অবস্থায় কলকাতা কতটা খেলা ঘোরাতে পারত তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে ক্রিকেটবোদ্ধাদের।
শনিবার বিকেলে বৈশাখী রোদে পোড়া ইডেনে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন পঞ্জাবের অধিনায়ক অশ্বিন। শুরুতেই নারিনের উইকেট হারালেও ক্রিস লিন ও উত্থাপ্পা রানের গতি বজায় রাখেন। পরে উত্থাপ্পা আউট হয়ে ফেরার পর রাণাও দ্রুত ফেরেন। লিন-কার্তিক জুটি অনেকটা রান টেনে নিয়ে যান। রানের গতিও বেশ ভাল ছিল। কিন্তু ৪১ বলে ৭৪ রান করে লিন ফেরার পর রাসেল, কুরান, কার্তিক কেউই আর রানের গতিকে ধরে রাখতে পারেননি। শেষ ২ ওভারে কার্যত রানই তুলতে পারেনি কেকেআর। ফলে ২০০-র ওপর রান ওঠার সম্ভাবনা স্পষ্ট হলেও তা বাস্তবে সম্ভব হয়নি। ১৯১ রানেই শেষে হয়ে যায় কলকাতার ইনিংস।
পঞ্জাবের ২ ওপেনার গেইল, রাহুল জুটি ভয়ংকর রূপ ধরে। বিধ্বংসী হিসাবে এতদিন গেইলকে চিনতেন সকলে। কিন্তু এদিন বল প্রহারে গেইলকেও ছাপিয়ে যান কেএল রাহুল। ওপেনিং জুটি যদি এই খেলা খেলে তাহলে প্রতিপক্ষ দলের কী পরিস্থিতি হতে পারে তা সহজেই অনুমেয়। তবু তর্কের খাতিরে বলাই যায় এটা ক্রিকেট। এখানে খেলার শেষ পর্যন্ত যে কোনও কিছু ঘটতে পারে। কিন্তু তখনই মরা কলকাতার গায়ে খাঁড়ার কোপটা মেরে দেয় সন্ধে নামার পর ঝড়-বৃষ্টি। যার জেরে ইডেনে ৯০ মিনিট বন্ধ হয়ে যায় খেলা। ডাকওয়ার্থ লুইস নিয়মে পড়ে যায় দুই দল। আর সেই হিসেব নিকেশে জয় আরও সহজ হয়ে যায় পঞ্জাবের জন্য। বৃষ্টির পর যখন খেলা শুরু হল তখন দেখা গেল ২০ নয়, পঞ্জাবকে খেলতে হবে ১৩ ওভার। আর জেতার জন্য করতে হবে ১২৫ রান। ওই পরিস্থিতিতে যা ছিল জলভাত। খেলা শুরুর পর কেএল রাহুল আউট হলেও খেলার ১১ বল বাকি থাকতেই ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় পঞ্জাব। ২৭ বলে ৬০ রান করে ম্যাচের সেরা হন রাহুল। গেইল করেন ৩৮ বলে ৬২ রান।