ইডেনে প্রথম এলিমিনেটরে জিতল কলকাতা। একদম গতবারের মত। গতবার দ্বিতীয় এলিমিনেটরে কলকাতা হেরেছিল মুম্বইয়ের কাছে। এবার তারা মুখোমুখি হায়দরাবাদের। সেখানে কলকাতা তাদের ভেল্কি বজায় রাখতে পারে কিনা সেদিকেই চেয়ে গোটা শহর। ম্যাচটা কলকাতায়। এটা কিছুটা হলেও কলকাতার জন্য ভাল খবর।
ইডেনে আইপিএলের এলিমিনেটর পর্যায়ের ম্যাচে বুধবার রাজস্থানের কাছে টস হারে কেকেআর। রাজস্থান শুরুতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয়। শুরু থেকেই এদিন উইকেট হারাতে থাকে কলকাতা। একে একে দ্রুত ড্রেসিংরুমে ফেরেন সুনীল নারিন, রবীন উত্থাপ্পা, নীতীশ রাণা। উইকেট পড়ে ক্রিস লিনেরও। সব মিলিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কেকেআর। খাদের কিনারায় পৌঁছনো দলকে টেনে তুলতে হাল ধরেন কার্তিক ও শুভমান গিল। এদের হাত ধরেই ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে কেকেআর। রান উঠতে থাকে ঝোড়ো গতিতে। এরপর শুভমান (২৮) আউট হয়ে ফিরলেও কার্তিক রানের গতি ধরে রাখেন। সঙ্গে যোগ দেন রাসেল। এই ২ জনের মারকাটারি ব্যাটে ভর করে কেকেআর পৌঁছে যায় চ্যালেঞ্জিং রানে। ১৬৯ রানে শেষ করে তারা।
১৭০ রান করলে জিতবে। এই অবস্থায় রান তাড়া করতে নেমে রাহানে-ত্রিপাঠী জুটি ভাল শুরু করে। ত্রিপাঠী ২০ রান করে ফিরলেও রানের গতি ধরে রাখেন রাহানে ও সঞ্জু স্যামসন। ৫ ওভারের শেষে ৫০ রান তুলে ২ জনেই বুঝিয়ে দেন রাজস্থান ম্যাচটা জেতার দিকেই এগোচ্ছে। কিন্তু এদিন যেভাবে কেকেআর বোলাররা খাদের কিনারায় পৌঁছে যাওয়া কেকেআরকে টেনে তুলে আনেন তা তারিফযোগ্য। অন্যদিকে যেখানে রাহানে, সঞ্জু জুটি খেলাকে জিতের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন, সেখানে রাহানের উইকেট বড় ধাক্কা হয়ে যায় বাটলার ও বেন স্টোকস বিহীন রাজস্থানের জন্য। ১৬ তম ওভারে সঞ্জু স্যামসন ফেরার পর রান ও বলের ফারাক বাড়তেই থাকে। যা শেষ ওভারে গিয়ে দাঁড়ায় ৬ বলে ৩৪ রান করতে হবের পর্যায়ে। এখান থেকে ম্যাচ জেতানো প্রায় অসম্ভব ছিল। হয়ও তাই। অগত্যা ২৫ রানে ম্যাচ হারতে হয় রাজস্থানকে। ম্যাচের সেরা হন রাসেল। তিনি সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্যা ম্যাচও হন। স্টাইলিশ প্লেয়ার অফ দ্যা ম্যাচ হন কুলদীপ যাদব। নয়া ভাবনার পুরস্কার পান রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। দ্বিতীয় এলিমিনেটরে কলকাতা মুখোমুখি হবে হায়দরাবাদের। খেলা আগামী শুক্রবার ইডেনে। যে জিতবে সে চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে ফাইনালে মুখোমুখি হবে।