১ বল বাকি থাকতে মুম্বইকে মু্ম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামেই হারিয়ে দিল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। টস জিতে শনিবার গতবারের আইপিএল চ্যাম্পিয়ন মু্ম্বই ইন্ডিয়ান্সকে ব্যাট করতে পাঠায় চেন্নাই।
টি-২০ ম্যাচে যে মারকাটারি ব্যাটিংয়ের দরকার পড়ে তা এদিন শুরু থেকেই ছিল অমিল। ফলে মুম্বইয়ের রানের চাকা তেমন ঘুরছিলনা। শেষে পাণ্ডিয়া ভাতৃদ্বয়ের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০ ওভারের শেষে মুম্বই পৌঁছয় ১৬৫ রানে।
১৬৬ রান করলে জিতবে। এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে চেন্নাইও মু্ম্বইয়ের ভয়ংকর বোলিং আক্রমণের সামনে মুখ থুবড়ে পড়ে। ১১৮ রানে ৮ উইকেট পড়ে যায় চেন্নাইয়ের। ১৭ ওভারের শেষে খেলা দেখে মনে হচ্ছিল এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। মুম্বই প্রথম ম্যাচ জিততে চলেছে হেলায়। মুম্বইয়ের সমর্থকরাও প্রায় নিশ্চিত খেলার ফলাফল নিয়ে। ঠিক এই অবস্থায় ব্রাভোর বিধ্বংসী ইনিংসের সূত্রপাত।
ম্যাকক্লেনাগানকে মারতে শুরু করেন ব্রাভো। ৬ আর ৪ মেরে ওই ওভারেই ২০ রান তুলে এক ওভারের ব্যবধানে আচমকা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন তিনি। চেন্নাই যেন ছাইয়ের স্তূপ থেকে ফিনিক্স পাখির মত ডানা মেলতে শুরু করে। পরের ওভারে ফের ছয়ের তাণ্ডব। তাও আবার বুমরাহ-র বলে। এখানেই ঘুরে যায় খেলা।
৭ বলে ৭ রান করলেই জিতবে এই অবস্থায় ৭টি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ ঘোরানো ব্রাভো ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। হাতে আর মাত্র ১ উইকেট। ফের জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করে মুম্বই। আর তা আরও উজ্জ্বল হয় শেষ ওভারের প্রথম ৩ বলে কেদার যাদব রান না পাওয়ায়।
কিন্তু চতুর্থ বলেই এক অসাধারণ ছয় খেলায় ফলাফলে শেষ পেরেকটা পুঁতে দেয়। পরের বলে চার মেরে কার্যত হারা ম্যাচ পকেটে পুরে ফেলে ধোনির চেন্নাই। তাও আবার ১ বল বাকি থাকতে। ১ উইকেটে জয় পায় তারা।
ম্যাচের সেরা হন ব্রাভো। ব্যাটিংয়ে ৩০ বলে ৬৮ রান আর বোলিংয়ে ৪ ওভার বল করে মাত্র ২৫ রান দেওয়া ব্রাভো ছাড়া নির্বাচকদের সামনে আর কোনও চয়েস ছিলনা।