রানের পাহাড় গড়েও শেষরক্ষা হল না। রাসেলের বিধ্বংসী ব্যাটিংও কাজে এলনা। হিসেব কষে ম্যাচ পকেটে পুরল চেন্নাই। ২০২ রান করা কলকাতার পিছু ধাওয়া করে ম্যাচ জিতে নিল চেন্নাই। মঙ্গলবার চেন্নাইয়ের চিপক স্টেডিয়ামে টস জিতে কলকাতাকে ব্যাট করতে পাঠান চেন্নাইয়ের অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। শুরুতে ক্রিস লিন এদিন তুলনামূলকভাবে ভাল ওপেনিং করেন। ৪টি চার হাঁকান তিনি। কিন্তু ২২ রানে ফিরতে হয় তাঁকে। মাত্র ৪ বল খেলে ২টি ছক্কা হাঁকিয়ে ফিরতে হয় নারিনকেও। এরপর রাণা-উত্থাপ্পা জুটি বেশ কিছুক্ষণ টানলেও মাত্র ১০ রানের ব্যবধানে ফিরতে হয় রাণা, উত্থাপ্পা ও রিঙ্কু সিংকে। স্কোর বোর্ডে ৮৯ রান। প্যাভিলিয়নে ফিরেছেন ৫ জন। এই অবস্থায় চাপে পড়া কেকেআরের হাল ধরেন অধিনায়ক কার্তিক ও রাসেল। এরপর রাসেল ক্রমশ হাত খুলতে শুরু করেন। যত সময় গড়ায় ততই ভয়ানক হয়ে ওঠেন রাসেল। যে চেন্নাইয়ের ঘরের মাঠে দর্শকরা চেন্নাইয়ের সাফল্যে ফেটে পড়ছিলেন, সেই গ্যালারিতেই স্তব্ধতা নেমে আসে। চলতে থাকে রাসেল ছক্কার বন্যা। পুরো খেলায় ১১টি ছক্কা হাঁকান তিনি। অবিশ্বাস্য জোরে মেরে একবার বল মাঠের বাইরেও পাঠিয়ে দেন। দলগত ১৬৫ রানের মাথায় কার্তিক ২৬ রান করে ফিরলেও রাসেল ক্রিজে টিকে যান শেষ পর্যন্ত। ৮৮ রান করে অপরাজিত থেকে যান তিনি। তাঁর অবিশ্বাস্য ইনিংসে ভর করে কেকেআর পৌঁছে যায় ২০২ রানে।
রানের পাহাড় তাড়া করতে নেমে রাইডু-ওয়াটসন জুটি কিন্তু কামাল দেখাতে শুরু করে। বিশাল রান তাড়া করার জন্য পাওয়ার প্লে-কে যেভাবে কাজে লাগাতে হয়, তা নিংড়ে ব্যবহার করা শুরু করেন ২ জনে। রানের বন্যা বইতে থাকে। মাত্র ১৯ বলে ৪২ রান করে ফেরেন ওয়াটসন। কিছুক্ষণ পর ফেরেন রাইডুও। ৩৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। চেন্নাইয়ের ২ ওপেনারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ভরসা করে ম্যাচে টিকে থাকার আশা জিইয়ে রাখে চেন্নাই। এরপর রায়না পায়ে চোট নিয়ে কিছুক্ষণ লড়াই দিলেও ১৪ রান করে ফিরতে হয় তাঁকেও। ম্যাচের হাল ধরার চেষ্টা করেন অধিনায়ক ধোনি ও বিলিংস। ১৪ ও ১৫ তম ওভারে যথাক্রমে ১৬ ও ১৭ রান নিয়ে খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন দুজনে। ঝিমিয়ে যাওয়া গ্যালারি আবার নতুন উত্তেজনায় উল্লাস শুরু করে। কিন্তু ১৭ তম ওভারে পীযূষ চাওলার চতুর বলে ব্যাটের কানা লাগিয়ে ধোনি ধরা পড়েন কার্তিকের হাতে। ২৫ রান করে ধোনি প্যাভিলিয়নে ফেরার পর বিলিংসকে সঙ্গত দিতে মাঠে নামেন রবীন্দর জাদেজা। বিলিংসের মারকাটারি ইনিংস এদিন ক্রমশ চেন্নাইয়ের জয়ের আশা উজ্জ্বল করতে থাকে। দিনের শেষে বিলিংসই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন। যখন আউট হলেন তখন মোটামুটি চেন্নাইয়ের জয় পাকা হয়ে গেছে। আর সেই জয়কে আরও সুগম করে দিল বিনয় কুমার। শেষ ওভারের প্রথম বলে নো বলে ছক্কা খেয়ে বিনয় কুমারই খেলার ফলাফল পাকা করে দেন। এরপর রবীন্দর জাদেজার একটা ছক্কায় ম্যাচ জিতে নেয় চেন্নাই।