ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং, ৩ বিভাগেই কলকাতাকে মাত দিল হায়দরাবাদ। আর ম্যাচ জিতে নিল হেলায়। অনায়াস জয়ে নিজেদের অবস্থান তালিকার ওপরেই ধরে রাখল হায়দরাবাদ। অন্যদিকে ৩টে ম্যাচ খেলে ২টো হেরে তালিকার অনেকটা নিচে নেমে গেল কলকাতা। শনিবার ইডেনে কলকাতাকে ৫ উইকেটে হারাল সানরাইজার্স। আর জয়ের নায়ক হয়ে রইলেন কলকাতারই দুই প্রাক্তনী সাকিব আল হাসান ও ইউসুফ পাঠান।
টস জিতে এদিন প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় সানরাইজার্স। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ইডেনের পিচে এদিন সানরাইজার্সের বোলিং আক্রমণের সামনে কার্যত মাথা তুলতে পারেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। প্রথম থেকেই একের পর এক উইকেট পড়েছে। ক্রিস লিন (৪৯) আর দীনেশ কার্তিক (২৯) বাদ দিলে কলকাতার কোনও ব্যাটসম্যানই এদিন ব্যাট হাতে বেশিক্ষণ সানরাইজার্সের সামনে দাঁড়িয়ে থাকতে পারেননি। বরং সানরাইজার্সের ভুবনেশ্বর কুমার, সিদ্ধার্থ কল, রশিদ খান, বিলি স্ট্যানলেক, সাকিব আল হাসানদের বোলিং দক্ষতায় সেভাবে খুলে কেউ ব্যাটিংও করতে পারেননি। ফলে রানও ওঠেনি। দীনেশ, ক্রিস বাদ দিলে শুধু রাণা (১৮) দুই অঙ্কের রানে পৌঁছতে পেরেছেন। বাকিরা ২ অঙ্কের ঘরও ছুঁতে পারেননি। ফলে ২০ ওভারের শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৩৮ রানে শেষ হয় কলকাতার ইনিংস।
অল্প রান তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালই করেন ঋদ্ধিমান সাহা ও শিখর ধাওয়ান। ধাওয়ান তেমন ভাল রান করতে না পারলেও ঋদ্ধিমানকে ভাল সঙ্গত দেন। ঋদ্ধি পাওয়ার প্লে-কে কাজে লাগিয়ে কঠিন পিচে ১৫ বল খেলে ২৪ রান যোগ করেন। এরপর উইকেট পতন ও স্পিনারদের দাপটে সানসাইজার্সের রানের গতি অনেকটাই কমে যায়। কলকাতা ও হায়দরাবাদের ওভারের নিরিখে রানের গতি প্রায় একই থেকে যায়। ফলে ম্যাচ ছিল ৫০-৫০ অবস্থায়। কলকাতার বোলিংও ভাল হচ্ছিল। এই অবস্থায় ১০ ওভারের পর ঋদ্ধিমান, ধাওয়ান ও মণীশ পাণ্ডের উইকেট হারানো সানরাইজার্স আচমকা ঘুরে দাঁড়ায়। দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ ওভারে ৪টি চার ও একটি ছক্কা খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। অল্প রান তাড়া করা সানরাইজার্স খেলায় জয়ের দরজা স্পষ্ট দেখতে শুরু করে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন ও সাকিব আল হাসানের দাপুটে ব্যাটিংয়ে ভরসা করে। এরপর খেলায় জয়টা ছিল সময়ের অপেক্ষা। মাঝে কলকাতা জয়ের আশা সামান্য জাগাতে পারলেও ইউসুফ পাঠান তাঁর কব্জির জোরে খেলা ঘুরিয়ে দেন। ১৯ ওভারেই খেলা শেষ করে দেয় সানরাইজার্স।