টি-২০ ক্রিকেটের কিছু নিয়ম আছে। তার একটি হল পাওয়ার প্লে না হলে ফিল্ডিং ছড়িয়ে দেওয়া যায় ঠিকই, কিন্তু সার্কেলের মধ্যে কমপক্ষে ৪ জন খেলোয়াড়কে রাখতেই হবে। এ নিয়ম যে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের অধিনায়ক রবিচন্দ্রন অশ্বিন জানতেন না এমনও নয়। তা সত্ত্বেও সেই ভুল করলেন।
১৬ ওভার ৫ বলের মাথায় সামির ইয়র্কারে পরাস্ত হয়ে আউট হন আন্দ্রে রাসেল। নিয়ম হল ব্যাটসম্যানকে আউট দেওয়ার পরও তাঁকে একটু মাঠে অপেক্ষা করতে হয়। আম্পায়াররা খতিয়ে দেখে নেন বোলার নো বল করেছেন কিনা। বোলারের স্টেপিংয়ে ভুল বলেই নয়, সার্কেলে ৪ খেলোয়াড়ের কম ফিল্ডিংয়ে থাকাও নো বল। বুধবার সেটাই হল। রাসেল আউট হওয়ার পরও বল নো হল। প্রাণ ফেরত পেলেন আন্দ্রে রাসেল। যখন তাঁর রানই প্রায় হয়নি।
এই ঘটনায় মাঠে উষ্মা প্রকাশ করতে দেখা যায় অশ্বিনকে। নিজের দলের খেলোয়াড়দেরও বলতে দেখা যায় কেন তাঁরা এটা দেখেনি। কিন্তু অশ্বিন বোধহয় ভুলে গিয়েছিলেন এটা দেখা আর কারও কাজ নয়। কাজটা অধিনায়কের। আর সেই দায়িত্ব তিনি নিজেই ঠিকমত পালন করেননি। যার ফল ভুগত হল সামিকে। বল নো বল হয়ে গেল। প্রাণ ফেরত পেলেন রাসেল। আর পরের বল ফ্রি হিটও হয়ে গেল।
জীবন ফিরে পাওয়ার পর প্রথম ফ্রি হিটে জোড়াল শট করেন রাসেল। আর তারপর থেকে শুরু হয় ইডেনে রাসেল তাণ্ডব। শক্তি আর দক্ষতার মিশ্রণ দেখা যায় রাসেলের ব্যাটে। শুরু হয় মাঠ জুড়ে চার, ছক্কার বন্যা। ইডেনের দর্শকরা আনন্দ করার জন্যও দম ফেলার সময় পাচ্ছিলেন না। একের পর এক বল বাউন্ডারি পার করে গিয়ে পড়তে থাকে। ছক্কার একটা হ্যাট্রিকও করেন রাসেল। অশ্বিন হাড়ে হাড়ে বুঝলেন রাসেল প্রাণ ফিরে পেলে কী হতে পারে। কারণ রাসেলের এই বিধ্বংসী ইনিংস ঝড়ের গতিতে কেকেআরের রান পার করে দেয় ২০০-র অঙ্ক। ২১৮ রানে শেষ হয় কেকেআর ইনিংস।