বড় রান তাড়া করে জিতল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। কলকাতার কাছে হারের পর শুক্রবারের জয়ে সাইরাইজার্সদের চলতি আইপিএলে সূর্যোদয় হল। এক ওভার বাকি থাকতেই ম্যাচ জিতে নেয় সানরাইজার্স। ম্যাচের সেরা হন আফগান ম্যাজিক স্পিনার রশিদ খান। ব্যাট হাতে নেমে যথারীতি বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন ওয়ার্নার। পিচ যে খুব কঠিন ছিল তাও নয়। বল ঠিকঠাক ব্যাটে আসছিল। ফলে রানের গতি বাড়াতে তেমন সমস্যা হয়নি হায়দরাবাদের।
শুক্রবার ঘরের মাঠে রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে নামে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। টস জিতে রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। শুরুতেই বাটলারের উইকেট হারায় রাজস্থান। কিন্তু ম্যাচের হাল ধরেন রাহানে ও সঞ্জু স্যামসন। এই দুজনের ব্যাটে ভর করে রান উঠতে থাকে। ব্যক্তিগত ৭০ রানে ফেরেন রাহানে। সঞ্জুর ব্যাট তখন কথা বলতে শুরু করেছে। সেই অবস্থায় তাঁকে সঙ্গ দিতে নামেন বেন স্টোকস।
স্টোকসের হাতে মার থাকলেও এদিন সঞ্জু যেমন মারকাটারি মুডে ছিলেন তাতে স্টোকস তাঁকে স্ট্রাইক ছেড়ে একরান করে নিয়ে নন স্ট্রাইকিং এন্ডে থাকা পছন্দ করছিলেন। সঞ্জু এদিন শতরানের দুরন্ত ইনিংস খেলে রাজস্থানকে সম্মানজনক টোটালে পৌঁছে দেন। অপরাজিত থেকে ১০২ রান করেন তিনি। অন্যদিকে স্টোকসও অপরাজিত থেকে ১৬ রান করেন। ২০ ওভারে ১৯৮ রান করে রাজস্থান।
বড় লক্ষ্য। কিন্তু ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নার ও বেয়ারস্টো যেভাবে রান তুলতে শুরু করেন তাতে বোঝাই যাচ্ছিল, এ ম্যাচে রান অনায়াসেই তুলে নেবে হায়দরাবাদ। বিশেষত ওয়ার্নার একটা ঝোড়ো শুরু উপহার দেন দলকে। ঘরের মাঠে দর্শকদের তখন উল্লাসের শেষ নেই। একের পর এক চার ও ছক্কা আসছে।
ব্যক্তিগত ৬৯ রানের মাথায় যখন ওয়ার্নার ফেরেন তখনই দলের রান ১১০ এ পৌঁছে গেছে। এরপর বেয়ারস্টো ৪৫ রানে আউট হন। বিজয় শঙ্কর (৩৫) ও অধিনায়ক উইলিয়ামসন (১৪) অনেকটা টানেন। দ্রুত ফেরেন মণীশ পাণ্ডে। শেষে ইউসুফ পাঠান ১৬ রান করে ও রশিদ খান ১৫ রান করে অপরাজিত থেকে দলকে ১ ওভার বাকি থাকতেই জিতিয়ে দেন।