মহেন্দ্র সিং ধোনি। যাঁরা তাঁকে চেনেন তাঁরা জানেন এই মানুষটি মাঠে ম্যাজিক দেখাতে পারেন। বিশেষত দল যখন কঠিন অবস্থায় থাকে তাঁর ব্যাট তখন আরও দৃপ্ত হয়ে ওঠে। শানিত তরোয়ালের মত বিপক্ষকে প্রহার করতে থাকে। নির্মমভাবে, নির্দয়ভাবে! বল তখন বেড়া টপকায় কখনও উড়ে তো কখনও গড়াতে গড়াতে। যেমন হল রবিবার সন্ধেয়।
২৭ রানে ৩ উইকেট হারানো দলটাকে কিছুটা টানলেন রায়না। আর একা দাঁড়িয়ে থেকে পুরোটা টানলেন অধিনায়ক ধোনি। গোলাপি ব্রিগেড রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে রায়না করলেন ৩৬ রান। আর ধোনি ২০ ওভারের শেষ পর্যন্ত অপরাজিত অবস্থায় দাঁড়িয়ে থেকে করলেন ৭৫ রান। ব্রাভোও ২৭ রানের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইনিংস খেলেন। ২০ ওভার খেলে চেন্নাই তোলে ১৭৫ রান। সম্মানজনক টোটাল। চ্যালেঞ্জিং টোটাল।
যদিও এখন আইপিএলে যা রানের বহর তাতে ১৭৫ রান তেমন কিছু নয়। যদিও পিচ কেমন তা একটা বড় বিষয়। রবিবার সন্ধেয় চেন্নাইয়ের চিপকের পিচে টস জিতে প্রথমে ধোনিদের ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন অজিঙ্ক রাহানে। ১৭৬ রান করতে হবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে সেই রাহানেই শূন্য রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। বাটলার ৬ ও সঞ্জু স্যামসন ৮ রান করে ফেরেন।
মাত্র ১৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে পাল্টা চাপে পড়ে যায় রাজস্থান। যদিও সমস্যা ব্যাটসম্যানদের চেয়েও বোলারদের বেশি ছিল। কারণ চিপকে যেভাবে অনর্গল শিশির পড়ছিল তাতে মাঠ ভিজে সপসপ করছিল। বল মাঠে গড়ালেই ভিজে যাচ্ছিল। ফলে বোলারদের সেই বল গ্রিপ করতে নাজেহাল দশা হচ্ছিল। সেটা ব্যাটিং সাইডের জন্য ভাল। কিন্তু সেই সুবিধা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হয় রাজস্থান।
শুরুতেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া রাজস্থানের হয়ে হাল ধরেন প্রাক্তন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ ও রাহুল ত্রিপাঠী। রান তোলার মরিয়া চেষ্টা চালান তাঁরা। কিন্তু ভয়ংকর হয়ে ওঠে চেন্নাইয়ের ইমরান তাহিরের ঘূর্ণি। সেট ব্যাটসম্যান স্মিথ (২৮) ও রাহুলকে (৩৯) ফিরিয়ে রাজস্থানকে আরও খাদের কিনারায় ফেলে দেন তাহির। বেন স্টোকস ও আর্চার মিলে শেষ চেষ্টা করলেও প্রয়োজনীয় রান থেকে ৮ রান দূরেই শেষ হয় ২০ ওভারের খেলা।
স্টোকস করেন ৪৬ রান। আরচার ২৪ রানে অপরাজিত থাকেন। ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হন ধোনি। ৩টি ম্যাচ খেলে ৩টি জয়ের সুবাদে কলকাতাকে সরিয়ে লিগ তালিকার ১ নম্বরে উঠে এল চেন্নাই।