সহজেই হেরে যাচ্ছে বেঙ্গালুরু। মাথা ভারী দল। বিরাট কোহলি, ডেভিলিয়ার্স, স্টোইনিজ, হেটমায়ারের মত তারকা রয়েছেন দলে। ফর্মে রয়েছেন পার্থিব প্যাটেল। তা সত্ত্বেও কেমন যেন সহজেই হেরে চলেছে বিরাট কোহলির দল। ৪টে খেলে ৪টে হার হেরে রয়েছে একমাত্র বিরাটের বেঙ্গালুরু। টেবিলের সবচেয়ে নিচে অবস্থান করছে তারা। মঙ্গলবার তারা হারল রাজস্থান রয়্যালসের কাছে। জেতার জন্য বড় একটা পরিশ্রম করতে হল না রাজস্থানকে।
ঘরের মাঠে এদিন টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন রাজস্থান অধিনায়ক অজিঙ্কা রাহানে। সোওয়াই মানসিং স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে ভাল শুরু করে বিরাট কোহলি ও পার্থিব প্যাটেল জুটি। বিরাট ২৩ রান করে ফেরার পর ডেভিলিয়ার্স বেশিক্ষণ ক্রিজে টিকতে পারেননি। ১৩ রানে ফেরেন তিনি। ১ রান করে ফেরেন হেটমায়ার। এরপর অবশ্য স্টোইনিজ ও পার্থিব রানকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন।
তবে ৩টি বড় উইকেট হারিয়ে রান তোলার গতি কমিয়ে ফেলে বেঙ্গালুরু। পার্থিবের ব্যাট অবশ্য ১৫ ওভারের পর ভালই চলতে থাকে। ৪১ বলে ৬৭ রান করে ফেরেন তিনি। পরে মইন আলি (১৮) ও স্টোইনিজ (৩১) অপরাজিত থেকে শেষের ওভারগুলোতে ভাল ব্যাট করে দলকে ১৫৮ রানে টেনে নিয়ে যান।
আইপিএলে যে ধরনের রান উঠছে তাতে ১৫৮ রান তেমন কিছু নয়। ১৫৯ করলে জিতবে এই অবস্থায় ব্যাট করতে নেমে রাহানে ও বাটলার দুরন্ত শুরু করেন। এই ওপেনিং জুটির দায়িত্বপূর্ণ ব্যাটিং রাজস্থানের জয়ের ভিত তৈরি করে দেয়। রাহানে ২২ রান করেন। তারপর স্মিথ-বাটলার জুটি খেলাকে জয়ের দিকে টেনে নিয়ে যেতে থাকেন। ৫৯ রান করে বাটলার ফেরার পর রাহুল ত্রিপাঠী ও স্মিথ খেলা টানতে থাকেন। স্মিথ আউট হন ৩৮ রান করে।
রাহুল ত্রিপাঠী ও স্মিথ মিলেই এদিন কিন্তু রাজস্থানকে জয়টা এনে দেন। স্মিথ যখন ফেরেন তখন জয়ের জন্য রাজস্থানের দরকার মাত্র ৫ রান। শেষে রাহুল ও বেন স্টোকস মিলে সেটা তুলে নেন। রাহুল করেন ৩৪ রান। ১ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় রাজস্থান। শ্রেয়স গোপাল ম্যাচের সেরা হন। ৪ ওভার বল করে ১২ রান দিয়ে ১টি মেডেন নিয়ে শ্রেয়স তুলে নিয়েছিলেন বেঙ্গালুরুর ৩ উইকেট। এমন দুরন্ত বোলিং স্পেলের জন্যই তাঁকে ম্যাচের সেরা হিসাবে বেছে নেন নির্বাচকরা।