কম রানের ম্যাচ। তাড়া করা দলকে ২০ ওভারে তুলতে হবে ১৩০ রান। ফলে সহজ জয়ের হাতছানি। তাও আবার কাদের তুলতে হবে, সানরাইজার্সকে। যাদের দলে একের পর এক ভাল ব্যাটসম্যান রয়েছেন। কিন্তু সেই ম্যাচও যে টানটান হয়ে উঠবে তা কেউ ভেবেছিল? হয়েছে কিন্তু তাই। বৃহস্পতিবার দিল্লির ফিরোজ শাহ কোটলা স্টেডিয়ামে এমনই এক ম্যাচ দেখলেন সকলে। যদিও শেষে সেই চাপ থেকে হায়দরাবাদকে মুক্ত করেন আফগান খেলোয়াড় মহম্মদ নবি।
টস জিতে এদিন প্রথমে দিল্লিকে ব্যাট করতে পাঠায় সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত উইকেট পড়তে থাকে দিল্লির। নিজেদের মাঠে সকলেই চেষ্টা করেন ঝোড়ো ব্যাট করার। আর সেখানেই হোঁচট খান সকলে। পৃথ্বী শ ১১, ধাওয়ান ১২, ঋষভ পন্থ ৫, তেওয়াতিয়া ৫, ইনগ্রাম ৫, ক্রিস মরিস ১৭, রাবাডা ৩ রান করে ফেরেন। কেবল কিছুটা হলেও লড়াই দেন শ্রেয়স আইয়ার। তিনি করেন ৪৩ রান। আর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে লড়েন অক্ষর প্যাটেল। ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে দিল্লি তোলে ১২৯ রান।
সামান্য রান। টি-২০ প্রতিযোগিতার জন্য কোনও রানই নয়। তা তাড়া করতে নেমে কঠিন পিচে ওয়ার্নার আউট হন ১০ রানে। কিন্তু উল্টোদিকে ঝোড়ো ইনিংস খেলেন বেয়ারস্টো। তাঁর ৪৮ রানের ইনিংস হায়দরাবাদের জয়ের ভিত তৈরি করে দেয়। যদিও ওয়ার্নার ১০ রান করে বেয়ারস্টোর পরে আউট হন। এরপর বিজয় শঙ্কর ১৬, মণীশ পাণ্ডে ১০, দীপক হুডা ১০ রান করে ফেরেন। আর এই রান করতে এঁরা বল অনেক খেলে ফেলেন। যার জেরে শেষের দিকে এসে বল আর প্রয়োজনীয় রান এক জায়গায় এসে ঠেকে। সরল ম্যাচ কঠিন হয়ে দাঁড়ায় হায়দরাবাদের জন্য। শেষের আগের ওভারে মহম্মদ নবি সব চাপ সরিয়ে দিয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে সানরাইজার্সের জয় নিশ্চিত করেন। ৯ বল বাকি থাকতেই জিতে যায় তারা। ম্যাচের সেরা হন বেয়ারস্টো।